বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের উচ্চ-শিক্ষা মান সুনিশ্চিত করতে ইন্টারনেট সেবার বিকল্প নেই।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পরও ইন্টারনেট (ওয়াই-ফাই) সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।এমনটাই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষে ২০১৪ সালে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে ওয়াই-ফাই (ইন্টারনেট) নেটওয়ার্কের আওতায় আনে প্রশাসন। কিন্তু কিছুদিন চালানোর পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন উপাচার্য আসার পর পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ওয়াই-ফাই জোন করার ঘোষণা দিলেও সেই ঘোষণা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওয়াইফাই সংযোগ চালু করলেও তা সব জায়গায় উন্মুক্ত করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য নিদিষ্ট করে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরেই ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া হয়।সংযোগটি খুব ধীরগতি সমপন্ন এবং দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সির কারণে প্রায়ই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা দিন দিন তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া হয়েছে তা আসলে অকার্যকর। অনেক সময় এর নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
এদিকে শিক্ষকদের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট ও বিভিন্ন অনলাইন গবেষণাপত্র ও বই খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি অর্থের চাপে।
তদুপরি টিএসসি ওয়াই-ফাই সংযোগ পেতে করা হয়েছে নানা বাধ্যবাধকতা। ইন্টারনেট সংযোগ পেতে গেলে করতে হবে রেজিষ্ট্রেশন, ইউটিউবে ঢোকা যাবে না,দুপুর ১২ টার আগে এবং সন্ধ্যা ৭টা পর নেট চালানো যাবে না। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ আর হতাশা।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা মো ফজলুল হক জানান, সাবেক উপাচার্য পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই আওতায় আনার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা টিএসসি ও কবি সুফিয়া কামাল হলে ওয়াইফাই এর আওতাধীন করেছি।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি কাজে সময়-অর্থ এবং এ সংশ্লিষ্ট অনেক কাজ করতে হয়।তবে ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসজুরে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা সুনিশ্চিত করা হবে।
আনন্দবাজার/শহক