স্বল্প পুঁজি নিয়ে কলা চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা। অনেকেই বাড়ীর পাশে পতিত জমিতে কলার আবাদ করে বাড়তি আয় করে সাবলম্বী হচ্ছেন। এতে করে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ অঞ্চলে কলার আবাদ।
এখানকার উৎপাদিত কলা গুণগত মানে ভালো হওয়ায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে। আর দাম ভালো পেয়ে খুশি এ অঞ্চলের কৃষক। এবার উৎপাদিত কলা থেকে ২৫ কোটি টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা, চাঁপা, আনাজ ও সবরিসহ বিভিন্ন জাতের কলার আবাদ হয়ে থাকে।
কৃষকরা বলেছেন, কলা চাষে তাদের খুব বেশি খরচ হয় না। সার ও কীটনাশকও তেমন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে দেশীয় জাতের বাংলা কলার চাহিদা রয়েছে। ফলে চাষির পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন তারাও।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, লক্ষ্মীপুরে ৪০০ হেক্টর জমিতে কলাবাগান রয়েছে। তাছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও কলাচাষিদের নানা ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষকের মাঝে উন্নত জাতের কলার চারা সরবরাহ করা গেলে এ অঞ্চলে কলার আবাদ যেমন বাড়বে, তেমনি কলা চাষেও লাভবান হবেন কৃষকরা।
আনন্দবাজার/ইউএসএস