শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন লাখ টাকায় বিক্রি হলো ৩৭ কেজি ওজনের ‘কালা পোপা’

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের স্থানীয় জেলের জালে আটকা পড়েছে প্রায় ৩৭ কেজি ওজনের একটি কালা পোপা বা পোয়া মাছ। লম্বায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট মাছটি বিক্রি হয়েছে  প্রায় তিন লাখ টাকায় টাকায়।

মাছটিতে এমন কী রয়েছে, যা এতো দামে বিক্রিয়ের হয়েছে ? ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে না পারলেও সবাই বলছেন- মাছটির ফুসফুসের কারণে এত দাম। মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, এ মাছটি হংকং-এ রফতানি হবে। আর মাছটির ফুসফুস দিয়ে বিশেষ ধরনের স্যুপ ও এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের অপারেশনাল সুতা তৈরি হয়। তাই মাছটির এত দাম।

শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রীপাড়ার মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, শনিবার তার ট্রলারটি নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় জেলেরা। লাক্ষা জাল সাগরে ফেলার পর প্রথম দফায় ইলিশ, রূপচাঁদা ও লাল কোরালসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় দফায় আবারো জাল ফেলা হলে কয়েকটি ইলিশ ও রূপচাঁদার সঙ্গে ‘কালা পোপা’ মাছটি আটকা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে জেলেরা বিষয়টি তাকে জানিয়ে মাছ ও ট্রলার নিয়ে টেকনাফে ফিরে আসে। টেকনাফের কায়ুকখালীয়া মৎস্য ঘাট থেকে ৩৬ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের মাছটি দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন সাবরাং এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ শফিক জানান, জাল ফেলার পর বারবার টান দিয়ে মনে হচ্ছিল বড় কিছু আটকেছে। জাল কাছে আনতেই বড় ‘কালা পোপা’ মাছটি দেখতে পায় সবাই। পরে ট্রলার নিয়ে তীরে আসতেই বড় মাছ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনঃ  সবজির দাম বাড়েনি, বেড়েছে মাছের

মাছ ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার নুরুল ইসলাম জানান, ‘কালা পোপা’ মাছের ফুসফুসের দাম অনেক বেশি। মাছটি চট্টগ্রামে নিতে সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী পি কে দাশ বিদেশে মাছ ও মাছের ফদানা রপ্তানি করেন। তার কাছেই মাছটি বিক্রি করবেন নুরুল ইসলাম।

তিনি আরো জানান, মাছটি কেটে বিক্রি করলে প্রতি কেজির দাম ৭০০ টাকার বেশি পাওয়া যাবে না। সে হিসেবে দাম হবে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। তবে এরযে ফদানা বা ফুসফুসের দাম অনেক। ফুসফুসটির ওজন ৯০০ গ্রামের বেশি হলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন