ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতেই জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো–নামানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করার পর পরই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে পরিচালন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দর জেটি থেকে ১৮ জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ জানান, পরিচালন কার্যক্রম বন্ধ করে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার উপকূলের কাছাকাছি থাকা জাহাজগুলো কক্সবাজারের দিকে গভীর সাগরে নেওয়া হয়েছে। বন্দর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দূর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।
আনন্দবাজার/ইউএসএস