শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরান ঢাকায় উদযাপিত হচ্ছে ঘুড়ি উৎসব সাকরাইন

পুরান ঢাকায় আজ চলছে ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব সাকরাইন। পুরান ঢাকার এই উৎসব পৌষসংক্রান্তি নামেও পরিচিত। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছর মাঘ মাসের প্রথম দিন এই উৎসব পালিত হয়েয থাকে।

এবারের আয়োজনে প্রথমবারের মতো যোগ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ডিএসসিসির উদ্যোগে আজ পুরান ঢাকার আকাশে উড়বে ১০ হাজার ঘুড়ি। এদিন দুপুর দুইটা থেকে শুরু হয়ে ঘুড়ি উৎসব চলবে রাত আটটা পর্যন্ত। “এসো উড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি” স্লোগানে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই উৎসব একযোগে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে আয়োজন করা হবে।

মূলত পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া, মুরগীটোলা, ধূপখোলা, দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, নারিন্দা, সূত্রাপুর, কাগজিটোলা, বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজার, কলতাবাজার, ধোলাইখাল, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, নবাবপুর, বংশাল, নাজিরাবাজার, তাঁতীবাজার এবং লালবাগ এলাকার মানুষ সাকরাইন উৎসবে দিনব্যাপী ঘুড়ি উড়িয়ে থাকেন। দিনব্যাপী থাকে নানা খাবারের আয়োজন। এদিন সন্ধ্যার পর থেকে চলে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো। সন্ধ্যাব্যাপী চলে এসব এলাকার ছাদে ছাদে আতশবাজির খেলা।

উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ বলেন, সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় এই ঐতিহ্য পুরান ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি, সাকরাইন উৎসব যে আমাদের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই, ঢাকার ঐতিহ্য লালন, সংরক্ষণ এবং প্রসারে ডিএসসিসির মেয়র মহোদয় যে রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সে ধারাবাহিকতায় আমরা প্রথমবারের মতো এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  জনপ্রশাসনে তিন সচিবের রদবদল

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন