ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের পানগুছিতে নির্মাণ হবে ১৪০০ মিটারের সেতু

সুন্দরবনের পানগুছি এলাকায় নির্মাণ করা হবে ১৪০০ মিটারের সেতু। কুয়েত সরকারের মালিকানাধীন কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (কেএফএইডি) ঋণে এক হাজার ৪০০ মিটারের (প্রায় দেড় কিলোমিটার) একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পানগুছি নদীর ওপর নির্মাণ করা হবে এ সেতু।

জানা গেছে, ‘সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-রায়েন্দা-শরণখোলা-বগী সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে পানগুছি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের অধীনে এটি তৈরি করা হবে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় করা হবে ৯৯৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ৫৯০ কোটি ৩ লাখ ৬৪ হাজার এবং কেএফএইডি ঋণ দেবে ৪০৬ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। তারা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি ওই সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে—পানগুছি সেতু তৈরির মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপজেলা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতি এবং বাগেরহাটের সাথে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলাসহ রাজধানী এবং মোংলা বন্দরের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা। এতে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পর্যটন শিল্পের উন্নতিও ত্বরান্বিত হবে।

প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করে সওজ অধিদফতর। সম্ভাব্যতা ওই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেতুটি টোলযুক্ত বিধায় আর্থিকভাবে অনেক লাভজনক হবে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ ওই এলাকার উৎপাদিত মৎস্য এবং কৃষিপণ্য স্বল্প সময়ে ও কম খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে পারবে এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে প্রকল্পটি লাভজনক হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাগেরহাট সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সনৎ কুমার সাহা বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় এ সেতুটি তৈরি করা হবে। সাইনবোর্ড থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবন। পানগুছি নদী হচ্ছে ১৭তম কিলোমিটার। সেতুটি হলে সুন্দরবনে যেতে খুব সুবিধা হবে। বর্তমানে ফেরিতে পারাপার হতে অনেক সময় লাগে। ওই অঞ্চলে যেসব ফসল হয়, ঘের আছে, ঘেরের মাছ, বিভিন্ন কৃষিজ জিনিসপত্র আসা-যাওয়ায় সময় লাগে। সেতু হলে দ্রুত চলাচল করা সম্ভব হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন