রাজধানীতে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং সড়কের শৃঙ্খলায় ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।অথচ ‘ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটি’ ডিটিসিএ প্রকল্প বাস্তবায়ন এখনও অনিশ্চিত। প্রকল্পের কারিগরি অনেক দিকই এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক হয়নি। সেই সাথে আছে দক্ষ জনশক্তির অভাবও।
আইন করলেও তা মানছে না কেউ। আবার কোথাও কোথাও আইনের প্রয়োগ একেবারেই অনিশ্চিত। পথচারীরাও ব্যাপক অসচেতন। আবার অদক্ষ চালক। সেই সাথে রয়েছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। ফলে সব মিলিয়ে কোনভাবেই সড়কে বিশৃঙ্খলা এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে সড়কে এমন বিশৃঙ্খলার জন্য বিশেষজ্ঞরা ব্যবসায়ী মনোভাবকে দায়ী করছেন। বলছেন গণ পরিবহনকে সেবা খাত হিসেবে না দেখে ব্যবসা হিসেবে নেয়ায় কোনও পরিকল্পনাই এখন কাজ করছে না। তবে বাসের রুট রেশনালাইজেশনকে ঢাকার গণ পরিবহনের জন্য ‘আশার আলো’ হিসেবে দেখছেন তারা।
বুয়েট এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ জানান, আমরা অনেক দিন ধরে কাজ করছি কিন্তু সফলতা আনতে পারছি না। আমাদের অবকাঠামোর দিক থেকে খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে আমরা সেই স্থান থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। তবে আগামী তিন মাসের মধ্যে ঘাটারচর মোহাম্মদপুর ও মতিঝিল রুটে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতিতে গণ পরিবহণ চলবে।
ডিটিসিএ এর ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার (যুগ্ম সচিব) প্রকল্প পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, এই সেক্টরে জনবলের বড় অভাব। বর্তমানে ঢাকা শহরে ১০টি স্থানে বাস টার্মিনাল নির্মাণের সমীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে রাতেও গণপরিবহণ সার্ভিস চালু রাখার কথা জানালেন ডিটিসিএ’র এর এই কর্মকর্তা।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে