শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে আমন ধান

গাজীপুরে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে আমন ধান

চলতি বছরের রোপা-আমন মৌসুমে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন ধান বাজার গুলোতে রেকর্ড দামে বেচাকেনা হচ্ছে আমন ধান। করোনা মহামারী কালীন সময় আর বন্যা পরবতী কালীন সময়ে কৃষকেরা তাদের জমিতে রোপা-আমন ধান রোপন করে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় ছিলেন।

তবে সেই দুশ্চিন্তা  কাটিয়ে উঠেছেন সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়া এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে। আশানুরুপ ফলন ও বিক্রিতে রেকর্ড পরিমাণ দাম পেয়ে জেলার প্রতিটি উপজেলার কৃষক-কৃষাণীর মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে।

এদিকে ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ৭৫ ভাগ আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। ঘাম ঝরা কষ্টে ফলানো সোনার ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন বর্তমানে এ জেলার কৃষক-কৃষাণীর চোখে মুখে। তবে জেলার অনেক স্থানেই শীতের সোনামাখা রোদ্র গায়ে মেখে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকরা।

এ বিষয়ে জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছর রোপা-আমন মৌসুমে প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ১৫-১৭ মন। এবার করোনার কারণে আমন ধান রোপনের সময় শ্রমিক সঙ্কট,বন্যা এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় ধান চাষ করতে বিলম্ব ও চাষাবাদ খরচ বেশি হলেও ধানের রেকর্ড দাম পাওয়াতে হাসির ফোয়ারা ফুটেছে জেলার কৃষকদের মুখে।

বাজারে কৃষকরা তাদের জমির ধান পাইকারদের কাছে ১২শ থেকে ১৩শ টাকা মন দরে বিক্রি করছেন। তবে ধান ভেদে আবার দাম কম বেশি আছে। তবে বর্তমান ধানের মূল্য বিগত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমান।

এদিকে পাইকারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধানের সকল প্রক্রিয়াজাত শেষে উৎপাদিত চাল আড়ৎদারদের কাছে বিক্রি করেন তারা। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, এ বছর এক মন ধানের সর্বনিন্ম দামই পড়েছে ১২শ থেকে ১৩শ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  গাজীপুরে বিজয় দিবস ঘিরে ব্যস্ত ফুল ব্যবসায়ীরা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম দৈনিক আনন্দবাজারকে জানান, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও প্রান্তিক কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করায় ফলন ও দাম ভালো পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জেলায় রোপা-আমনের ৪২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমি থেকে এ বছর ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যদি কোন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা কোন ধরনের সমস্যা না হয় তাহলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন