ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরুড়া উপজেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে আখের চাষ

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা আখ চাষের উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে আখের চাষ। এখানকার আখ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দেখতেও সুন্দর, ফলনও বেশ ভাল হয়।

বরুড়ার উৎপাদিত সুমিষ্ট এই আখ কুমিল্লার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। চৈত্র মাসে আখের চারা রোপন করা হয় আর আষাঢ়ের পর থেকে পরিপক্ব হয়। এ চার মাস বরুড়ার কৃষকরা আখ চাষ নিয়ে ব্যস্ত থাকে ।

বরুড়ার কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে বরুড়া উপজেলার ১১০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছিলো। তবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ডিঙ্গিয়ে ১২০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে।

প্রতি বছরই এই উপজেলায় আখ চাষের জমির পরিমাণ বাড়ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ১১০ মেট্রিক টন আখ চাষ করা হয়। এবং প্রতি হেক্টর জমি আখ চাষ করতে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকা। আর এই পরিমাণ জমির আখ বিক্রি করা হয় প্রায় ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায়।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের চাষি আলী আজ্জমের ছেলে খলিলুর রহমান বলেন, আখ চাষে জন্য শ্রমিক কম লাগে। অনেক সময় আখ কাটার জন্য কোনো শ্রমিকের দরকার হয় না। পাইকাররাই তাদের শ্রমিক নিয়ে আসে। যেহেতু তারা জমির পুরো আখ কিনে নিয়েছে সেজন্য তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আখ কাটে ।

তালুকপাড়া গ্রামের বড় আখ চাষি রমিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল হান্নান বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে আখ চাষ করি। সরকার যদি আমাদের আখ চাষের ঋণ দিত তাহলে আমরা আরো বেশি করে জমিতে আখ চাষ করতে পারতাম।

আমাদের মধ্যে অনেক দরিদ্র কৃষক আছে যারা মহাজনদের কাজ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে আখ চাষ করে। তবে আখ উৎপাদনের পর সুদসহ ঋণ পরিশোধ করে তাদের লাভ খুব একটা থাকে না।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন