আগামী মৌসুমে আরও বৃদ্ধি পাবে ইলিশের উৎপাদন। এ বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে শতকরা ৫১ দশমিক ২ ভাগ মা-ইলিশ ডিম দিয়েছে। যা পূর্বের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ মৎস্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কর্তৃক পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধকালীন সময়ে মা-ইলিশ মোট ডিম ছেড়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫ কেজি। এর শতকরা ৫০ ভাগ হ্যাচিং ধরে এবং তার শতকরা ১০ ভাগ বাঁচার হার ধরে চলতি বছর প্রায় ৩৮ হাজার কোটি জাটকা ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে।
যা গত মৌসুমের চেয়ে ১ হাজার কোটি বেশি। আর গেল বছর ইলিশের প্রজনন সফলতা ছিল ৪৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। বিএফআরআই বলেছে, যেহেতু চলতি বছর ইলিশের প্রজনন সফলতা রেকর্ড গড়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবারের মতো এবারও ইলিশ সবচেয়ে বেশি ডিম ছেড়েছে পটুয়াখালী উপকূল এলাকায়। সেখানে ডিম ছাড়ার হার গড়ে ৭৫ শতাংশ। এরপরে রয়েছে ভোলার মনপুরায় ৬১ শতাংশ, কক্সবাজারে ৫০ শতাংশ ও চাঁদপুরে ৪১ শতাংশ জরিপকালে ৩২ শতাংশ ইলিশ প্রজনন সক্ষম ছিল।
ফলে মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দেড় লাখ টন। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৭ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সেটা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার টন।
এ বিষয়ে বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, এবার মৌসুমে একটি নিম্নচাপ ছিল যা ইলিশের প্রজনন সফলতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। চলতি বছর উৎপাদিত ৩৮ হাজার কোটি জাটকা যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারলে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে