ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যমুনা নদীতে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু

যমুনা নদীতে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু

যমুনা নদীতে নির্মিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩শ’ মিটার উজানে নির্মিত হবে এই রেল সেতুটি। রেলমন্ত্রী জানান, এটি রেলসেতুটি চালু হলে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক তৈরি হবে। সেই সাথে যাত্রী সেবার মান বাড়ার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে, বলছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, আগামীকাল রবিবার (২৯শে নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেলসেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ৪টি ট্রেন দৈনিক ৮ বার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও পড়ে যাত্রী চাহিদায় তা আরও বৃদ্ধি করা হয়।

কিন্তু ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দিলে কমিয়ে দেয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন খুবই স্বল্প গতিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সময় অপচয়ের পাশাপাশি সিডিউলেও ঘটছে ব্যাপক বিপর্যয়।

তাই ট্রেন যোগাযোগের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩শ মিটার উজানে নির্মাণ করা হবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের ডাবল লেনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু। এতে সেতুটি নির্মাণ হলে একদিকে যেমন বাঁচবে সময়, তেমনি ব্যাপক প্রসার ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যেরও।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, উত্তরবঙ্গের মানুষের অনেকদিনের একটি আশা আকাঙ্খা ছিল তাদের একটি রেলসেতু হবে যাতে করে সরাসরি মাল সহ আমরা যেতে পারি। এটি হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জাতীয় জিডিপিতেও অবদান রাখবে।

রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, সেতুটিতে একশ’ কিলোমিটার বেগে দুটি ট্রেন একসাথে চলাচল করতে পারবে। পরিবহণ করা যাবে সকল ধরনের মালামাল। এছাড়া সেতুটির সাথে সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত রেল সংয়োগ স্থাপনের দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭শ’ ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা। আগামী ২০২৪ সালের আগস্টে এর কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন