ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনের হিসাবে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দেওয়া হয় ভারতে। দেশটির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে সরকারি হাসপাতালের সিট সবখানে টেবিলের নিচে মুহূর্তে একহাত থেকে আরেক হাতে চলে যাওয়া নোটের কল্যাণে চাইলেই মিলছে সব। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এশিয়ার ১৭টি দেশের ২০ হাজার মানুষকে নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছে সংস্থাটি। ভারতের ৩৯ শতাংশ মানুষ জানান, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে। যা এশিয়ার সর্বোচ্চ ঘুষের হার।
সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতে ৪৭ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন, গত ১২ মাসে দেশটিতে দুর্নীতি বেড়েছে। এছাড়া ৬৩ শতাংশ মানুষ এটাও মনে করেন দুর্নীতি রুখতে সরকার ভালো কাজ করছে। মোদি সরকারের ওপর এখনও আস্থা রয়েছে অনেক মানুষের।
সমীক্ষায় আরও দেখা যায়, ভারতের ৪৬ শতাংশ মানুষ কোনো সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য উপর মহলে যোগাযোগ করেন। এদের মধ্যে ৩২ শতাংশ মনে করেন উঁচু জায়গায় যোগাযোগ না করলে তারা পরিষেবা পেতেন না।
জরিপটি পরিচালনা করার জন্য, জনগণকে পুলিশ, আদালত, সরকারি হাসপাতাল, পরিচয়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া এবং বিদ্যুৎ, পানির মতো পরিষেবা পাওয়ার অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। যারমধ্যে সর্বোচ্চ (৪২ শতাংশ) মানুষ বলেন, তাদের পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়েছে। পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য সরকারী কাগজপত্র পেতে ঘুষ দিতে হয়েছিল ৪১ শতাংশ মানুষকে।
জরিপে ঘুষ নিয়ে ভোট দেয়ার চিত্রও উঠে এসেছে। এ হার ভারতে ১৮ শতাংশ, অবস্থান চতুর্থ।
জরিপে প্রথমবারের মতো সরকারি কর্মকর্তাদের পরিষেবার দিতে যৌনতা চাওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতে এর হার ১১ শতাংশ।
জরিপে উঠে এসেছে, ভারতের ৬৩ শতাংশ মনে করেন তারা যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তবে তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি