পুঁজিবারে টানা তিন কার্যদিবস যাবৎ চলছে দরপতন । ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেন বাড়লেও সূচকের পতন অব্যাহত ছিল । কিন্তু দরপতনের হার আগের তুলনায় কম ছিল । তবে গতকাল প্রকৌশল খাতে লেনদেন বেড়েছে এবং বিমা খাতে লেনদেন কমেছে । অন্যদিকে বস্ত্র খাতে লেনদেন বেড়েছে সামান্য । দরপতনের আধিক্য ছিল ছোট-বড় সকল খাতেই । সবশেষে দরবৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল প্রকৌশল খাত।
গতকাল প্রকৌশল খাতে তিন শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয় মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ বা ৫৩ কোটি টাকা। এই খাতে বেড়েছে ৫৪ শতাংশ কোম্পানির দর । প্রায় ১৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে ন্যাশনাল টিউবস শীর্ষে উঠে এলেও দরপতন হয় ১৪ টাকা। ১৪ শতাংশ দর বেড়ে কপারটেক দরবৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পরে কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে সাত শতাংশ নগদ এবং পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
এছাড়া প্রায় ১৩ শতাংশ লেনদেন হয় বিমা খাতে। এই খাতে পাঁচ শতাংশ লেনদেন কমেছে। ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয় সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের। এক টাকা ৪০ পয়সা দরপতন হয়। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে কোম্পানির দর বেড়েছে ৩৬ শতাংশ ।
সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয় স্কয়ার ফার্মার, দরপতন হয় ৯০ পয়সা। সিলকো ফার্মার চার কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এক টাকা ৩০ পয়সা দর বেড়েছে। ওয়াটা কেমিক্যালের চার কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে সাত টাকা ৮০ পয়সা। সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়ে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ দরবৃদ্ধিতে অষ্টম অবস্থানে উঠে আসে।
প্রায় ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয় চামড়াশিল্প খাতের লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের, দরপতন হয় সাড়ে ১৬ টাকা। খাদ্য খাতের গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর সোয়া চার কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর কমেছে ১০ পয়সা।
