দীর্ঘ ৩ বছর পর চলচ্চিত্রে ফিরেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে সিনেমা পাড়ায় সরব হয়ে উঠেছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ খ্যাত গুণী এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চলচ্চিত্রটির বেশিরভাগ অংশের শুটিং শেষ করেছেন নওশাবা। অনুপম কথাচিত্রের ব্যানারে সরকারি অনুদানের এই ছবিটিতে নওশাবার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সুমিত দাস গুপ্ত। চলচ্চিত্রটির নানা দিক নিয়ে নওশাবা কথা বলেছেন দৈনিক আনন্দবাজারের বিনোদন প্রতিবেদক ওয়ালিউল সাকিবের সাথে।
দৈনিক আনন্দবাজার: দীর্ঘদিন পর সিনেমায় ফেরার অনুভূতিটা কেমন?
নওশাবা: একজন তৃষ্ণার্তকে মরুভূমিতে ছেড়ে দিলে তারপর যদি সে নদীর দেখা পায়, আমার অনুভূতিটা আসলে ঠিক তেমনই। সিনেমা আমার কাছে একটা ইবাদতের মতো জায়গা। আমার অস্তিত্বে ফাটল ধরছিল, যেহেতু আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারছিলাম না। সিনেমায় কাজ করতে পেরে মনে হচ্ছে অনেকদিন পর এক সিলিন্ডার অক্সিজেন পেলাম।
দৈনিক আনন্দবাজার: এফডিসি কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
নওশাবা: আমার আগে কখনো এফডিসির লোকজনের সাথে কাজ করা হয়নি। উনারা অনেক ইন্টারেস্টিংলি কাজ করে। অপুদি, নীরব ভাইয়ের সাথে কাজ করাটা আমার জন্য ভালো একটি অভিজ্ঞতা ছিল। আমি অনেক কিছু শিখেছি।
দৈনিক আনন্দবাজার: চলচ্চিত্রটির গল্প নিয়ে কিছু বলুন….
নওশাবা: চা শ্রমিকদের জীবনের সংগ্রাম এবং ঘাত-প্রতিঘাত নিয়েই মূলত ‘ছায়াবৃক্ষ’ সিনেমাটি এগিয়েছে। সাধারণত সিনেমা নায়ক অথবা নায়িকা কেন্দ্রিক হয়, তবে এই সিনেমায় গল্পটাই মূলত হিরো।
দৈনিক আনন্দবাজার: ‘ছায়াবৃক্ষ’ তে দর্শক কি আবারও আপনাকে ভিন্ন ধারার চরিত্রে পাবে?
নওশাবা: আমি আসলে সবসময়ই ভিন্ন ধারার চরিত্রে কাজ করার চেষ্টা করি। এই চরিত্রটা তেমনই একেবারে ভিন্ন একটা চরিত্র। আমি এর আগে নিজেকে কখনো এমন চরিত্রে ধারণ করিনি। এখানে অভিনয় করার দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। আমার চরিত্রটি একজন চা শ্রমিকের, যে একজন নৃত্যশিল্পী।
দৈনিক আনন্দবাজার: ছায়াবৃক্ষ নিয়ে কিছু বলুন….
নওশাবা: চা শ্রমিকদের নিয়ে এর আগে কোন সিনেমা হয়নি। এর অভিনয় শিল্পীরা বেশ অভিজ্ঞ। অপু বিশ্বাস, নীরব, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত দাস গুপ্তের মতো অভিনেতারা এতে কাজ করছে। দর্শক খুব চমৎকার একটি ছবি পেতে চলেছে।
দৈনিক আনন্দবাজার: নতুন কোন চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ চলছে কিনা?
নওশাবা: সামনে দুটি সিনেমা নিয়ে কথা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো কাজ করা হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস