দুর্যোগের সাথেই আমাদের চলতে হবে, তাই আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিও থাকতে হবে কোস্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্যে ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কথা বলেছেন। রোববার (১৫ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোস্টগার্ডের একটি ঘাঁটির কমিশনিং এর পাশাপাশি ৯টি জাহাজ উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে, এ জন্য আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। এই সময় আমাদের প্রত্যেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে অর্থনীতি যেন থমকে না যায় এবং মানুষের জীবন যেন সচল থাকে; সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতো না। এই সামুদ্রিক সম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগতে হবে।
নয়টি জাহাজের মধ্যে চারটি ইতালি থেকে কেনা হয়েছে। বাকি পাঁচটি তৈরি করা হয় নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা শিপইয়ার্ডে। ইতালি থেকে কেনা চারটি অফশোর প্যাট্রল ভেসেল হলো- বিসিজিএস সৈয়দ নজরুল, বিসিজিএস তাজউদ্দীন, বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামারুজ্জামান।
দেশে তৈরি ভেসেলগুলো হলো- বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা ও বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা।
এছাড়া দুটি ফার্স্ট প্যাট্রল বোট বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া আজ এ বাহিনীর বহরে যুক্ত হবে। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমানায় অতন্দ্র প্রহরীর কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়।
আনন্দবাজার/শহক