দেশে স্থাপন করা হবে ‘বঙ্গবন্ধু পিয়ারে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তিকেন্দ্র’। কৃষি খাতে উন্নয়নশীল গবেষণা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীল খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনায় স্থাপিত হতে যাচ্ছে এই গবেষণাকেন্দ্র।
সেই সাথে কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস) বঙ্গবন্ধু গবেষণা চেয়ার স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, প্রযুক্তি বিনিময় ও উন্নয়ন সহযোগিতা আরও বাড়বে।
কাউন্সিলর কমার্স বাংলাদেশ হাইকমিশন মো. শাকিল মাহমুদ বলেন, আমাদের দীর্ঘ দুই বছরের প্রচেষ্টার ফলে আজ সফলভাবে বাংলাদেশে এটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। আমি আশা করি এতে করে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কও আরো মজবুত হবে।
জানা গেছে, অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নামে কানাডার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা চেয়ার স্থাপন করা হবে। সেই সাথে কানাডার সহায়তায় বাংলাদেশে একটি প্রযুক্তিকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়।
সাস্কাচুয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী ডেভিড মেরিট চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ভ্রমণ এসে জিআইএফএস এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কানাডা-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলা করার কাজে এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কৃষি প্রযুক্তিকেন্দ্রটি স্থাপনের ব্যাপারে সকন অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনার জন্য গত ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন অটোয়া একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করে। ওই বৈঠকে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলভমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (আইডিআরসি), জিআইএফএস এবং বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৈঠকে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ডেভিড হার্টম্যান বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর উক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ বঙ্গবন্ধু-পিয়ারে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তিকেন্দ্র করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি উভয় দেশের নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে কানাডা সরকারের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি এবং কানাডা থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, এই প্রথম কানাডা সরকারের সরাসরি সহায়তা এবং অর্থায়নে এ ধরনের গবেষণাকেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার ও দূতালয়প্রধান মিয়া মো. মাইনুল কবির আলোচনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে