হিদু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারির দূর্যোগের মধ্যে স্বাস্থ বিধি মেনে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। কালিপূজা গভীর রাতে শুরু হয় এবং ঊষা লগ্নের প্রাক্কালে সম্পন্ন হয়। কার্তিক মাসের আমবস্যা তিথিতে শ্যামা পূজা বা কালি পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পুরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই একটি রুপ। কালি পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের মধ্যই রয়েছে কালি পূজার মহত্ম।
দীপাবলী বা দেওয়ালী হিন্দু ধর্মীয় উৎসব। তবে জন-শিখ ধর্মালম্বীরাও এই সময় একই ধরণের উৎসব পালন করে। দীপাবলীর এই রাতটি বছরের সবচেয়ে অন্ধকারতম রাত তাই অজ্ঞানতা ও নিরাশার অন্ধকার দূরীভূত করতে মানুষ দীপাবলীর রাতে প্রদীপ জ্বালায়, তারা অশুভ শক্তিকে নিবৃত্ত করতে আতসবাজীও পোড়ায়। আলোর এই উৎসব দীপাবলী। কালি পূজা দীপাবলীর শুভেচ্ছা বার্তা। কালি পূজা দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়ীতে ও শ্বশান প্রদীপ প্রজ্জলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দিপাবলী।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে শান্তি, সংহতি ও সম্প্রতি প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের প্রতিক শ্যামা দেবী। সংষ্কৃত ভাষার কাল শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালির বিভিন্ন রুপের বর্ণণা পাওয়া যায়। এ সব রুপের মধ্য দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বধিক পরিচিত ও পূজিত।
পাইকগাছায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যর মধ্য দিয় শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ছ। উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্দিরে, বাৎসরিকভাবে ও বাড়ীতে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস জানান, উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও বাড়ীসহ ৩ শতাধিক পূজা মন্ডপে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গভীর রাত থেকে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা উপলক্ষে মন্ডপে পূজার আরতী ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে পূজা শেষ হয়। পৌর সদর, নতুন বাজার ও কপিলমুনির সিংহবাড়ী সহ কপিলমুনি সদর শ্যামপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে প্রতীমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শ্যামাপূজা সমাপ্তি ঘটবে।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ