শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলুবীজের ব্যাপক চাহিদা, সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

হিমাগারে সংরক্ষণ করা আলুর দাম বেশি পেয়েছে জয়পুরহাটের আলু চাষিরা। তাই এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই আলু চাষের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। উন্নত জাতের আলুবীজ সংগ্রহে চাষিরা বীজ ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে ভিড় করছে। এতে ব্যাপক চাহিদার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি মূল্যে বীজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে আলুর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন আলু চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবার জয়পুরহাটে আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর। তবে বীজ সংগ্রহে চরম সংকটে পড়েছে তারা। ফলে বর্তমানে জেলার বিভিন্ন বাজারে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্র্যাকের সরবরাহকৃত ৪০ কেজির প্রতি বস্তা অ্যাস্টেরিক, ক্যারেজ ও ডায়মন্ড জাতের আলুবীজ। কোম্পানির নির্ধারিত ডিলারদের ‘এ’ গ্রেড আলুবীজ প্রতিমণ ২ হাজার ২০০ টাকা এবং ‘বি’ গ্রেড ২ হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি করার কথা রয়েছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় সংকটের অজুহাত দিয়ে ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলার কৃষকদের অভিযোগ, অগ্রিম টাকা দিয়েও বীজ সংগ্রহ করতে পারেননি তারা। পরে বেশি দামে আলুবীজ কিনতে হয়েছে তাদের। তারা জানায়, আলুবীজ ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার এক বিঘা জমি চাষ করতে তাদের উৎপাদন খরচ পড়বে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক সিড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজ জয়পুরহাট জেলার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম জানান, এবার জেলায় সাড়ে চার হাজার টন আলুবীজ সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু মান ভালো হওয়ায় কৃষকরা ব্র্যাকের বীজ বেশি সংগ্রহ করলেও সরবরাহ কম থাকায় তাদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ  জিআই প্রাপ্তিতে রংপুরের শতরঞ্জি

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক স. ম. মেফতাহুল বারি জানান, জয়পুরহাটে এ বছর আলুবীজের সম্ভাব্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টন। যার মধ্যে শুধু বিএডিসি আলুবীজের চাহিদা ১৩ হাজার ৭০০ টন। তবে, বাজারে সেই পরিমাণ আলুবীজের সরবরাহ নেই। তাই আলুবীজের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি 

সংবাদটি শেয়ার করুন