বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও কোয়ারেন্টিনে কঠোর হচ্ছে সরকার

করোনার সংক্রমণ যেন বৃদ্ধি না পায় সে জন্য বিদেশফেরত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার সনদ দেখানো এবং কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে ব্যাপক কঠোর হচ্ছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া দেশ থেকে বিদেশগামী যাত্রীদেরও করোনা পরীক্ষার সনদ নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সেই সাথে বিশ্বের নানা দেশে করোনা সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলছে সরকার।

জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সম্প্রতি হওয়া আন্ত মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ ব্যাপারে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে বিদেশফেরত কয়েকজনের করোনা পরীক্ষায় ফল পজিটিভ আসায় তাদের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী একজন যাত্রীর কাছে  করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ পাওয়ায় তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. শাহলীনা ফেরদৌস জানান, বিশ্বের নানা দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় আবারও বিদেশফেরত যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে যেন সংক্রমণ না বাড়ে সেদিকে আমরা অনেক সতর্ক রয়েছি। এমনকি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা এভাবে সতর্ক রয়েছি। এর আগে একাধিক দেশ বাংলাদেশি যাত্রীদের নিয়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ায় আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা এখন থেকে এভাবেই কঠোর কিছু পদক্ষেপ নিব। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষ বিভিন্ন ভাবে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে করোনা সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনকি অনেক শিক্ষিত মানুষকে বুঝিয়েও এ বিষয়ে  সচেতন করা যাচ্ছে না। তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, বিদেশ থেকে যখন যাত্রীরা বিমানে উঠছেন তখন তারা সনদ ছাড়া কিভাবে উঠছেন সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।

আরও পড়ুনঃ  জয়পুরহাটে একই পরিবারের ৪ জন আইসোলেশনে

এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। যেকোনো দেশ থেকে যাত্রী বিমানে তোলার আগে তাদের দেখা উচিত ওই যাত্রীর কাছে করোনা নেগেটিভ সনদ আছে কি না। দেশে স্থলবন্দরগুলো হয়ে ৫৬৮ জন ও সমুদ্রবন্দর হয়ে ৩১১ জন এসেছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৪৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে ও ১৮১ জনকে আইসোলেশনে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন