কফি চাষ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে কৃষক ছানোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইলে মধুপুরের তার এই কফি বাগান দেখতে প্রতিদিন নানা এলাকা থেকে ছুটে আসছেন সব মানুষ। ফলে দেখতে এসে তারাও সম্ভাবনাময় কফি চাষে আগ্রহী হয়ে কফি বাগান করার পরিকল্পনা করছে।
তবে কফি বাগানে বাম্পার ফলন হলেও প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে অনেকটাই ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে কৃষক ছানোয়ার হোসেনকে। তাই এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে সরকারিভাবে সহায়তা দাবি করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
জানা গেছে, অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও আবহাওয়া বিবেচনায় বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চলে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই পরীক্ষামূলকভবে শুরু হয় কফির চাষ। তাই বান্দরবনে কফি চাষের সাফল্য পাওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এই কফি চাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা এলাকার ছানোয়ার হোসেন বান্দরবান থেকে২ শত কফির চারা এনে বাগান শুরু করেন।
নানা ফসলের পাশাপাশি তিনি শখের বশে এই কফির বাগান গড়ে তোলেন। কিন্তু শখের বশে করলেই বাগানে হয়েছে কফির বাম্পার ফলন। এরইমধ্যেই তার বাগান থেকে কফি তুলতে শুরু করেছে। প্রতিটি গাছ থেকে দুই কেজি কফি সংগ্রহ করার আশা করছেন। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে অনেকটাই ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে তাকে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে বাগান দেখতে আসা উৎসুক মানুষরা বলেন, এই বাগান দেখে তাদেরও আগ্রহ অনেক বাড়ছে, তারা এই বাগান করার পরিকল্পনা করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অনেকদিন ধরে কফি বাগানটি নিয়মিত দেখভাল করে আসছেন তিনি। কফির বাম্পার ফলনে তিনিও বিরাট সম্ভাবনা দেখছেন কফির।
তিনি জানান, তাদের সকল সহযোগিতায় এ বাগানটি করেছিল। এই বাগানে বাম্পার ফলন হওয়ায় স্থানীয় কৃষরা ব্যাপকভাবে আগ্রহী হচ্ছে। একটি মেশিন দেওয়া হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও আরও দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মধুপুরে মোট ৩ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ করা হচ্ছে। আরও ২০টি প্রদর্শনী নতুন করে দেওয়া হয়েছে। আর এতে ২ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে