গাজীপুরের শ্রীপুরে শত শত একর কৃষি জমি পতিত। যেখানে সরকারের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি কৃষি থেকে আসে। এখানে পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে না ধানসহ বিভিন্ন রবি শস্য। এসব কৃষি জমিতে কিছুদিন আগেও ধান পাটসহ বিভিন্ন প্রকার রবি শস্য চাষ করা হতো এখন আর চাষ হচ্ছে না।
পতিত কৃষি জমির পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রকারের ভাড়ায় চালিত বাসাবাড়ি এসব থেকে ময়লা পানিসহ রাসায়নিক নির্গত হয়ে পড়ছে জমিতে ফলে কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হাওয়ায় জমিগুলো চাষাবাদযোগ্য হচ্ছে না। অন্যদিকে পতিত কৃষি জমিগুলো বেশী দিন পড়ে থাকায় চাষাবাদ না করায় ময়লার ভাগাড় ও কচুরিপানা এবং কীটপতঙ্গের ভরে গেছে।
আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কেওয়া চন্নাপাড়া ও মুলাইদ গ্রামের পতিত কৃষি জমির এমন চিত্র। উপজেলার পৌর এলাকার কেওয়া চন্নাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, এসব পতিত জমিতে ধানসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষ না করার কারণ হল বাসা বাড়ি থেকে বিভিন্ন প্রকারের দূষিত ময়লা পানি জমিতে পড়ার কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ায় শত শত একর পতিত জমি চাষাবাদযোগ্য হচ্ছে না। সরকারিভাবে যদি জমির পাশ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিত তাহলে এ পানিগুলো অন্য জায়গায় চলে গেলে জমিতে চাষাবাদ করা কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট হতো না।
তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের সোহেল রানা জানান, একমাত্র কারণ হলো এসব পতিত কৃষি জমিতে চাষাবাদ না করতে পারা জমির পাশ দিয়ে বাসাবাড়ি গড়ে উঠেছে নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ময়লা পানি গুলি জমিতে পড়ছে চাষাবাদযোগ্য জমির ধারণক্ষমতা নষ্ট হওয়ায় চাষ করা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যদি এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিত তাহলে শত শত একর পতিত কৃষি জমি চাষ যোগ্য হত দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে এগিয়ে যেত।
আনন্দবাজার/শাহী/মহিউদ্দিন