ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওল্ড ট্রাফোর্ডে থামল লিভারপুলের জয়রথ

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে আটকে দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। টানা ৮ ম্যাচ জয়ের পর প্রতিপক্ষের মাঠে হারের শঙ্কায় পড়েছিল অলরেডরা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। এ নিযে দুই আসর মিলিয়ে টানা ১৭ জয়ের পর পয়েন্ট হারাল লিভারপুল।

গতকাল রবিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টানা ১৮তম জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল ইয়ূর্গেন ক্লপের দল। প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন ফরোয়ার্ড মার্কাস র‌্যাশফোর্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাডাম লালানার গোলে হার এড়ায় অতিথিরা।

ম্যাচের ৩৬তম মিনিটের মাথায় জেমসের দুর্দান্ত বাঁকানো ক্রসে থেকে বলে পা ঠেকিয়ে লিভারপুলের জালে জড়িয়ে দেন রাশফোর্ড। যদিও এই গোল নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে লিভারপুল।

তাদের দাবি রাশফোর্ড বল ধরার আগেই অরিজিকে ফাউল করেছিলেন লিন্ডেলফ। রেফারি অবশ্য ভিএআরের সাহায্য নিয়ে যাচাই করে নেন লিভারপুলের দাবি যথার্থ কি না। শেষমেশ গোলের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন রেফারি।

৪৩তম মিনিটে জাল খুঁজে পান মানে। তবে বল রিসিভ করার সময় এই ফরোয়ার্ডের হ্যান্ডবল হয়েছিল কি না দেখতে ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। এবার তিনি বাতিল করেন গোল।

বিরতির পর বেশ কিছু আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালালেও গোল বঞ্চিত হয় দুই দলই। শেষ পর্যন্ত ৮৫তম মিনিটে গোল করে লিভারপুলকে পয়েন্ট পাইয়ে দেন অ্যাডাম লাল্লানা। রবার্টসনের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন তিনি। সমতায় ফেরার পর লিভারপুলের সেরা মূর্তি দেখা গেলেও ম্যাচের ফলে কোনো বদল হয়নি।

ইংলান্ডের এই “লাল যুদ্ধের” ফল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে রেফারি ও ভিএআর বিতর্ক। ম্যাচ শেষে এই প্রসঙ্গে দুই কোচ নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান।

গোলটি প্রসঙ্গে লিভারপুল বস ক্লপ বলেন, “আমি নিশ্চিত, ম্যাচে যদি ভিএআর প্রযুক্তি না থাকতো, তাহলে রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজাতেন। কিন্তু তিনি খেলা চালিয়ে গেছেন কারণ, তার কাছে ভিএআর আছে। কিন্তু এরপর ভিএআর বলছে, গোলটা বাতিল করা যাবে না। কারণ, যা ঘটেছিল সেটা স্পষ্ট নয়।”

“আমি রাগ করিনি। অবাক হয়েছিলাম। আমার মনে হয়, সবাই একমত হবে যে এটা ফাউল ছিল। কিন্তু ভিএআর সেটা ভাবেনি। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের আলোচনা করার সময় এসেছে।”

ইউনাইটেড বস সুলশার অবশ্য লিন্ডেলফের চ্যালেঞ্জকে ফাউল মানতে নারাজ, “কোনো সুযোগই নেই (ফাউল বলার)। আমরা বাস্কেটবল খেলছি না। এটা কখনোই ফাউল হতে পারে না।”

“আমার মতে, রেফারির প্রশংসা করা উচিত। আমরা এটা সাধারণত করি না। একটা ডার্বি ম্যাচ যেমন হবার কথা, তিনি সেভাবেই এটি পরিচালনা করেছেন।”

 

 

আনন্দবাজার/খলিফা

সংবাদটি শেয়ার করুন