রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরগুনায় মুক্তা চাষে ব্যাপক সাফল্য

বরগুনায় ঝিনুকের মুক্তা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। ইতোমধ্যে তার সফলতার গল্প ছড়িয়েও পড়েছে বরগুনা জেলায়। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন মুক্তা চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে উপজেলার কে. লতাবাড়িয়া গ্রামে ব্রাইট এগ্রো নামের একটি কৃষি খামার নির্মাণ করেন অবসারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। এতে পরামর্শ এবং সার্বিক সহায়তা করেন তার ছোট ভাই কামরুল ইসলাম এবং তিনি নিজেও টেকসই উপকূলীয় মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক। এই ফার্মেই মাছের পাশাপাশি ঝিনুকের মুক্তা চাষের প্রকল্প হাতে নেন নুরুল ইসলাম। সেই সাথে গড়ে তোলেন একটি প্রদর্শনী খামারও।

ঔষধ শিল্পে, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, পেইন্টস ফরমুলেশনে মুক্তা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে হাওড় এবং বিলে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তা পাওয়া গেলেও বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে।

মুক্তা চাষে আগ্রহী আবদুস সোবাহান জানান, আমাদের প্রচুর প্রাকৃতিক জলাধার আছে, যাতে ঝিনুক পাওয়া যায়। আমরা নুরুল ইসলাম ভাইয়ের প্রদর্শনী খামার দেখেছি। আর সেখান থেকেই এই চাষে আগ্রহী হয়েছি। তবে সরকারি সহায়তা পেলে এটা বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব।

 এই ব্যাপারে নুরুল ইসলাম জানান, পুকুর বা জলাশয়ে একই সাথে মুক্তা ও মাছ চাষ করে যে কোনো পরিবার অর্থনৈতকভাবে লাভবান হতে পারে। আমার এই ব্রাইট এগ্রোর মুক্তা চাষ প্রকল্প দেখতে প্রতিদিন নানা এলাকা থেকে লোকজন আসছে। ব্রাইট এগ্রোর পক্ষ থেকে হাতে-কলমে ঝিনুকের মুক্তা চাষের পদ্ধতি, কৌশল এবং পরিচর্যার ব্যাপারে আগ্রহীদের ধারণা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  সোনালি আঁশ রফতানিতে ফিরেছে আশা আলো

তিনি আরও জানান, প্রতিটি ঝিনুক থেকে উৎপাদিত হয় ৬টি করে মুক্তা। বর্তমানে এখানে ৩ হাজারের বেশি মুক্তা উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে গ্রিসে অবস্থানরত বাঙালিরা মুক্তা সংগ্রহের ব্যাপারে আমার সাথে যোগাযোগ করছেন। আগামী নভেম্বর মাসে গ্রিসে প্রবাসী বাঙালিদের চাহিদামতো ১ হাজার পিস মুক্তা পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ঝিনুকের মুক্তা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করে মুক্তা চাষের ব্যাপক প্রশংসা করে জানান, এ উদ্যোগ দেখে আমি খুবই উচ্ছ্বাসিত। এলাকার বেকার যুবকরা একটু উদ্যোগী হলে মুক্তা চাষ প্রকল্প থেকে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন