বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। ফলে এর প্রভাবে উপকূল, অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাতে দূুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ক এক জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা ও উপকূলীয় অঞ্চল সংলগ্ন জেলাগুলোর জেলা-প্রশাসন কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও উপকুলীয় অঞ্চলের প্রত্যেক জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি এসব কেন্দ্রে শুকনা খাবার এবং শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা করা ও জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) আওতায় প্রশিক্ষিত ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী বাহিনীও দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস