লক্ষ্মীপুরে করোনার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে ডাবের চাহিদা। তবে চাহিদা বাড়লেও কমে গেছে নারিকেল উৎপাদন। গত বছরও এ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকার নারিকেল উৎপাদন করা হয়েছে। আর চলতি বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ডাব বিক্রি করেছে সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিটি ডাব ৩৫-৪০ টাকা মূল্যে কিনে পানি পান করছে তৃষ্ণার্তরা। মূল্য বেশি হলেও গরমে ক্লান্তি দূর করতে তৃষ্ণার্তদের কাছে ডাব সবচেয়ে বেশি নিরাপদ পানীয়।
এই ব্যাপারে শহরের কয়েকজন ডাব ব্যবসায়ী বলেন, সব মানুষের কাছেই ডাবের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে চলতি বছর করোনাকালীন ডাবের চাহিদা দ্বিগুণহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মূল্য বেশি হলেও চাহিদা কমেনি। জেলার বাজারে বাজারে ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করা হচ্ছে। নানা ফলের দোকানেও ডাব বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে এ জেলার ডাব ঢাকা-চট্টগ্রামসহ নানা জেলায় পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের নানা এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ পিস ডাব বিক্রি হয়। প্রতিটি ডাব ৩০-৩৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। জেলায় প্রায় প্রতিদিন প্রায় ৭০ লাখ টাকার ডাব বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে ডাব সংগ্রহ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে রফতানি করেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪শ কোটি টাকার ডাব বিক্রি হয়েছে।
শহরের চকবাজার এলাকায় ডাব বিক্রেতা কাশেম হাওলাদার বলেন, তিনি ৬০টি ডাব নিয়ে বের হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৫০টি ডাব তিনি বিক্রি করতে পেরেছেন। তিনি প্রতিটি ডাব ৩৫ টাকা করে বিক্রি করেছেন। ডাবগুলো তিনি দালালবাজার এবং চররুহিতা ইউনিয়নের নানা এলাকা থেকে কিনে আনেন। প্রতিটি ডাব কৃষকের কাছ থেকে কেনা এবং গাছ থেকে পাড়া পর্যন্ত ২০-৩০ টাকার মতো খরচ হয় আমার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, চাহিদা অনেক বেশি থাকায় জেলায় ডাব বিক্রির হার বেড়ে গেছে। চাহিদা ও মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষকরা ডাব বিক্রিতেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে