শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে রঙ-তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত কারিগররা

নীলফামারীতে বর্তমানে রঙ-তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত রয়েছে কারিগররা। ইতোমধ্যে জেলার ৬ টি উপজেলায় পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় শেষ। তবে চলতি বছর করোনা মহামারিতে পূজা মণ্ডপকে আর্কষণীয় করতে আলোকসজ্জা ও গেট নির্মাণের প্রতিযোগিতা নেই।

সরেজমিনে নানা পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, জেলার রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া কাছারী বাজার পূজা মণ্ডপে সব কিছুই ভিন্ন ধরনের। ওই মণ্ডপের সভাপতি ধীরেশ চন্দ্র রায় বলেন, চলতি বছর কারিগর (মালি) বাবদ খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার ও ডেকোরেশন বাবদ ৩০ হাজার টাকা। তবে প্রতিমার উপকরণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবার। এর মধ্যে শাড়ি, রঙ, আতপ চাল, নারিকেল, কেশ, সুতা,  ধুতি, ধুপ ও ধুনা ক্রয় ক্ষমতা বাইরে।

একইভাবে  উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সন্ন্যাসী তলা গ্রামের মৃৎ শিল্পী রমানাথ চন্দ্র রায়ের হাতের ছোঁয়ায় ৩ জন সহকারী দিয়ে তৈরি করছেন প্রতিমা। কাঁদা লাগানোর কাজ শেষ, বর্তমানে রঙ তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

জেলা প্রশাসন সূ্ত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত নীলফামারীতে ৮৪৭টি পূজা মণ্ডপ তৈরি হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএ হায়াত জানান, এ বছর ৮৪৭ টি মণ্ডপে বিপরীতে ৪২২.৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে কারোনার পরিস্থিতির জন্য ১০ মণ্ডপ কমানো হয়েছে। কিন্তু বাড়ানো হয়েছে বরাদ্দের পরিমাণ।

এই ব্যাপারে জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায় জানান, জেলায় ৬১টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া কাছাড়ী বাজারে ব্যাপক আয়োজনে শারদীয় দুর্গাৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্বাস্থবিধি মেনে রাত ৯টার মধ্যে সব কর্মকাণ্ড শেষ করার আদেশ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  কমলাপুর না ভেঙে নির্মিত হবে মেট্রোরেলের শেষ স্টেশন

পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান জানান, এ বছর জেলায় ৮৪৭টি পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একজন পোশাক ধারী পুলিশের সাথে পাঁচজন আনসার ও গ্রাম পুলিশ সহযোগিতা করবে। এছাড়াও বিজিবি ও র‌্যাব ২৪ ঘণ্টা টহলে থাকবে। সেই সাথে জেলার ৬ টি উপজেলত্র পূজা মণ্ডপগুলোই গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন