শিল্পায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে পণ্যের দৃষ্টিনন্দন মোড়ক নয়, গুণগত মানের ক্ষেত্রেও বিশ্বমানের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত “শিল্পখাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন: নিরাপদ ও টেকসই পৃথিবী গড়তে ‘মান’ এর ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের যে অবস্থানে পৌঁছেছে, শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিএসটিআইকেও সে পর্যায়ে উন্নীত হতে হবে। গ্রাম-গঞ্জে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে বিএসটিআই’র কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একমাত্র মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গুরুদায়িত্ব বিএসটিআই এর ওপর বর্তায়। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বিএসটিআইকে একটি আধুনিক মান নিয়ন্ত্রণ ও মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় পর্যায়ের দফতরগুলোতে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, চলমান করোনার এই ক্রান্তিলগ্নেও কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নানাভাবে নষ্ট ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করছে। এরা যত বড় ব্যবসায়ী হোক না কেন এদের ছাড় দেওয়া হবে না। চট্রগ্রাম ও খুলনায় বিএসটিআই’র কার্যালয়ে নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও কক্সবাজারে বিএসটিআই’র নতুন কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দেশের সর্বত্র সকল পণ্যের মান দ্রুত নির্ধারণ করার লক্ষ্যে আগামীতে সকল জেলায় বিএসটিআইয়ের কার্যালয় ও ল্যাবরেটরি সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস