শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জবির প্রথম ছাত্রী হলের উদ্বোধন

দেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তকমা ঘুচছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ক্যাম্পাসের বিপরীত পাশে ছাত্রীদের জন্য নবনির্মিত হল।

নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ নামে ১৬ তলা বিশিষ্ট ১ হাজার আসনের বিশালাকার। বিগত ১০ বছর ধরে নির্মানাধীন ভবনটি সকল কাজ শেষে এখন ছাত্রীদের থাকার উপযোগী বলে জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে ১৫ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে হলটি উদ্বোধনের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঐদিন সকাল সাড়ে দশটায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা এবং বেলুন উড়িয়ে হলটির উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে উদ্বোধকের জায়গায় জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নাম লেখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতার নামানুসারে হলটির নামকরন করা হলেও প্রধানমন্ত্রীকে কেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে রাখা হয়নি এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছার নামে। করোনাকালীন অনাড়ম্বরভাবে হলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা উদ্বোধন হলে জবি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি পাওয়া হত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে চাইলেই সম্ভব।

সাবেক জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল এবং তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাতার নামে তাই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমেই তা উদ্বোধন করা উচিৎ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রীর অবদান সর্বাধিক। এছাড়া এখন পর্যন্ত জবির কোন ফলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম নেই। তাই তার মাধ্যমে হলের উদ্বোধন করে তাকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিৎ।’
অন্যান্য শিক্ষার্থী লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হলে অবশ্যই তিনি হলটি নিজে উদ্বোধন করবেন। কোন কারণে অপারগ হলে কমপক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন করা হোক।

আরও পড়ুনঃ  জয়পুরহাটে নারীদের জন্য লেডিস ক্লাবের উদ্বোধন

এদিকে হলের প্রভোস্ট ড. আনোয়ারা বেগম একই প্রশ্ন রেখে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে কেন হলের উদ্বোধক হিসেবে রাখেনি ভিসি? যেখানে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের প্রকল্প ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ চাইলে কি তিনি হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতেননা? অবশ্যই থাকতেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “হল উদ্বোধন কে করবে না করবে সেটা তো বিজ্ঞপ্তিতেই বলে দেওয়া হয়েছে। সেটাই ফাইনাল। এ নিয়ে কে কি লিখছে (বলছে) তাতে আমার কিছু যায় আসেনা, সেটা তাদের বিষয়।

আনন্দবাজার/শাহী/সাইদ

সংবাদটি শেয়ার করুন