নেপালের ৭৬টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের দাবি জানিয়েছে নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ বিষয়ক জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রকাশ দাহাল। অপরদিকে বাংলাদেশও ৪২টি পণ্যের একই রকম সুবিধার কথা জানায়। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি পর্যায়ের বাণিজ্যিক আলোচনা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকের প্রথম দিনে অগ্রাধিকার বাণিজ্যিক চুক্তির (প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট) খসড়া ও প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ বিষয়ক জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রকাশ দাহাল।
আজ (৮ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাণিজ্যিক চুক্তিতে উপনীত হওয়া ও তা স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকাশ দাহাল বলেন, নেপাল থেকে যেসব পণ্যের তালিকা দেয়া হয়েছে, সেগুলোতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়াই হলো আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কাস্টমস চার্জ ছাড়াও নেপালি পণ্যের ওপর বাংলাদেশ আরো বিশদ চার্জ ধার্য করে। এর ফলে বাংলাদেশের বাজারে সেসব পণ্যের দাম বেশি হয়।
তিনি বলেন, যে অতিরিক্ত চার্জ ধার্য করা হয় আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো তা পুরোপুরি বাতিল করা। এ নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। এ বিষয়ে বাংলাদেশ যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে একটি বাণিজ্যিক সুবিধা বিষয়ক চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে।
নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালি ১০৮টি পণ্যকে শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি এবার চা, কফি, বড় এলাচ, ফলমুল, একাশিয়া গাছের কাঠ, পশমিনা সহ বেশ কিছু রফতানিযোগ্য পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে রফতানির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক নেপাল। যেসব পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধার বাইরে রয়েছে, তা বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছে বলেও জানায় দেশটি।
আনন্দবাজার/ইউএসএস