শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়দেবপুরে মাছের আড়তে দৈনিক বেচাকেনা ১৫ লাখ টাকা

গাজীপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র জয়দেবপুর বাজারের পাইকারী ও খুচরা মাছের আড়তে দৈনিক সকালে বিভিন্ন জাতের মাছের থালা সাজিয়ে বসেন পাইকারী মাছ ব্যবসায়ীরা।

এদিকে জেলার বিভিন্ন নদ-নদী থেকে ও বিভিন্ন এলাকার খাল-বিল পুকুরে চাষকৃত মাছ আহরণ করে এই আড়তে নিয়ে আসেন জেলেরা। এই আড়তে প্রতিদিন প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা করা হয়। সকাল থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মাছ কেনাবেচার ধুম পড়ে যায়।

প্রায় ৬০-৭০ বছরের পুরোনো এই বাজারে স্থানীয় নদ-নদী,খাল-বিল ও বিভিন্ন এলাকায় পুকুর-ডোবায় চাষকৃত মাছ বিক্রি হয়। এগুলো ফরমালিন মুক্ত হওয়ায় এ বাজার থেকে ক্রেতাদের মাছ কেনার আগ্রহ বেশি লক্ষ্য করা যায়।

এদিকে, ভোর বেলা থেকেই সরগরম হয় জয়দেবপুরের মাছ বাজার। প্রচুর হাঁকডাকে চলে মাছের বেচাকেনা। বাজারের একদিকে পাইকারী ভাবে কিনে অপরদিকে আবার সেই মাছ খুচরায় বিক্রি হয়।

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল জংশনের পশ্চিম পাশের মাছ বাজারটি প্রায় ষাট-সত্তর বছরের পুরোনো এটি। মাছে ফরমালিন মেশানোসহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে জয়দেবপুর মাছ বাজার আড়ৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শম্ভু নাথ দাস ‘দৈনিক আনন্দবাজার’কে জানান, এই মাছ বাজারে স্থানীয় নদ-নদী, খাল-বিলের মাছ জেলেরা সরাসরি নিয়ে আসেন এই বাজারে। তাই ফরমালিন মেশানোর কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন পর পর প্রশাসনের লোকেরা এসে বাজারে অভিযান পরিচালনা ও তদারকি করেন। তাই নির্ধিদায় বলতে পারি এই মাছ বাজারের সব ধরণের মাছ শতভাগ ফরমালিন মুক্ত।

এখানে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ৭৫০-৮০০ টাকা, ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ৫০০-৫৫০ টাকা, প্রতিকেজি টেংরা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ১০০০-১২০০ টাকা, কাতলা ২২০-২৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, চিড়িং প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, মাগুও ৪০০ টাকা, দেশি কৈ ২০০ টাকা, চাষকৃত কৈ ১৪০-১৫০ টাকা, মৃগেল ১৫০ টাকা, রুই ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঝালকাঠিতে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৭৮ টি পরিবারে গৃহনির্মান

আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ

সংবাদটি শেয়ার করুন