রাজধানীতে চলছে কোটি টাকার বর্জ্য বাণিজ্য। বাসা-বাড়ি ও দোকান-রেস্টুরেন্টের ময়লা-আবর্জনা নিয়ে দিনের পর দিন চলছে মোটা অংকের বাণিজ্য। একটি ওয়ার্ডেই বছরে কোটি টাকার লেনদেন হয়।
বর্জ্য নির্মূলে দুই সিটি করপোরেশনকে সহায়তার নামে বেশ সক্রিয় আছে কিছু বেসরকারি সংস্থা। আর এদের আড়ালে রয়েছে কয়েকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট, সেই সাথে এদের সাথে যুক্ত রয়েছে দেশের রাজনীতিবিদ ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। পরিচ্ছন্নকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করলেও টাকার সকল হিসেব নেতাদের পকেটে।
এলাকাবাসীরা জানান, বর্জ্যকর্মীরা বাসাবাড়ির ভারী সব ময়লা কষ্ট করে নিয়ে যায়। তাই এই কাজের পুরো টাকাটা তাদেরই প্রাপ্য। কিন্তু যদি এই টাকাটা তারা না পেয়ে অন্য কারো হাতে চলে যায়, তাহলে তো আর মানবিকতা বলতে কিছু থাকেই না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বর্জ্যকর্মী জানান, প্রায় ১৮-১৯ বছর যাবত আমি এখানে কাজ করি। তখন এ কাজ থেকে পেতাম ৫ টাকা। তবে ময়লার টাকা নানা ভাগে ভাগ হয়ে থাকে। ময়লা বেশিহলে টাকা বেশি আর কম হলে টাকা কম। তবে বাসাবাড়ি ও রেস্টুরেন্টের ময়লার বিল ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু এই সব টাকা যায় সব নেতা ও প্রভাবশালীদের হাতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব রয়েছেন মঞ্জুর ব্রাদার্স। তবে তার অফিসে গিয়ে দেখা মিললো না কারও। ফোন পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি জানান, সুমন নামের আরেকজনের কথা। কীভাবে পেলেন এই কাজ? প্রশ্নের উত্তরে জানান, মহনগর শাখার এক নেতার নাম।
রাজধানীতে প্রতিটি ওয়ার্ডের অবস্থা প্রায় একই। সামনে পরিচ্ছন্নকর্মীরা থাকলেও আড়ালে-আবডালে রয়েছে নেতা ও প্রভাবশালীরা। বর্জ্য নির্মূলের নামে একটি সিন্ডিকেট দলকে বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতা ও খামখেয়ালিকে দায়ী করছেন নগরবাসী।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে