ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের জীবনের বিনিময়ে প্রাণ যাবে পাঁচ লাখ হাঙরের!

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। এই পরিস্থিতিতে রেকর্ড গতিতে টিকা তৈরির চেষ্টা চলছে। যাকে বলা হয়, ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ গবেষণা। এর কারণে অন্তত পাঁচ লাখ হাঙরের জীবন যেতে পারে।

একটি সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠন এই বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে যেভাবে হুড়োহুড়ি করে পরীক্ষা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, তাতে হয়তো মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে পাঁচ লাখ হাঙরকে।

বেশিরভাগ ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরিতে ‘অ্যাজুভ্যান্ট’ লাগে। যা একটি ফার্মাকোলজিক্যাল এজেন্ট। এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে। আর এই উপাদানটি মেলে হাঙরের লিভারে। ভ্যাকসিনের দ্রুত ও কার্যকর প্রভাব পেতে এই উপাদানটি জরুরি। ফলে ব্যাপক গবেষণা এবং বিপুল পরিমাণে টিকা তৈরির জন্য হাঙর নিধন জরুরি হয়ে পড়ছে। এতে মানুষের জীবনের বিনিময়ে যাবে লাখ লাখ হাঙরের প্রাণ।

জানা যায়, সব ভ্যাকসিনেই বিভিন্ন অ্যাজুভ্যান্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে ‘স্কুইলিন অয়েল’ লাগে। এটি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। হাঙর ছাড়াও বেশ কিছু প্রাণীর লিভারে থাকে এই তেলটি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাঙরের লিভার অয়েলই নেওয়া হয়ে থাকে।

ওই সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠনটির দাবি, অন্তত ২১ হাজার হাঙর মারতে হবে শুধু আমেরিকার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন তৈরি করতেই। তবে গাছের থেকেও ‘স্কুইলিন অয়েল’ পাওয়া যায়। সংস্থাটি দাবি লরছে, হাঙর না-মেরে যদি গাছ থেকে পাওয়া স্কুইলিন অয়েল ব্যবহার করা হয়।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন