বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

নওগাঁয় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি আত্রাই ও মান্দা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে। ২য় দফা শেষে ৩য় দফায় বন্যা পরিস্থিতিতে চরম ক্ষতির মুখে জেলার জনজীবন। জেলার প্রধান নদী আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর পানি একটি পয়েন্টে কমলেও অন্য সবগুলো পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে মান্দা ও আত্রাই উপজেলার ২০ হাজার হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত আর ৩৫০টি পুকুর ভেসে গেছে।

নওগাঁ শহড়ের প্রাণকেন্দ্রের বুক বেয়ে চলা ছাট যমুনা নদীর পানি শহড়ের ব্যাস্ততম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা তেলপট্টিতে প্রবেশ করায় চরম ভোগান্তিতে ব্যাবসায়িক মহল। এছারা শহড়ের উকিলপাড়া, পুরাতন কালেক্টরটে ভবন চত্বর, সুপারিপট্টি এবং বিজিবি ক্যাম্পে পানি ঢুকে পড়েছে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ উজ্জামান খান জানান, আত্রাই ও যমুনা নদীর পানি প্রায় সবগুলো পয়েন্টে কমে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

তিনি আরও বলেন, আত্রাই নদীর পানি ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে পানি কিছুটা কমলেও অপরদিকে আত্রাই নদীর মহাদেবপুর পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি। মান্দা উপজেলায় জোতবাজার পয়েন্টে এখন ১৬.৬১ সেনিটমিটার উপর দিয়ে এবং আত্রাই রেলওয়ে ষ্টেশন পয়েন্টে স্থতিশীল অবস্থায় এখন ১৪.৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ বলেন, তিনটা উপজেলাতেই আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। পানি নেমে গেলে এসব জায়গায় আমরা শীতকালীন সবজির ব্যবস্থা করবো।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন করে বন্যায় নওগাঁর মান্দা ও আত্রাই উপজেলার ২০ হাজার হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত আর ৩৫০টি পুকুর ভেসে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  পেঁয়াজ সংরক্ষণে ‘এয়ার ফ্লো’মেশিন

আনন্দবাজার/শাহী/অনিক

সংবাদটি শেয়ার করুন