সঠিকভাবে আলোকচিত্ৰবিদ্যা শিল্পের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য একজন আলোকচিত্রীর কাছে ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা (ডিএসএলআর) থাকা ভীষণ জরুরি। কিন্তু এই ডিজিটাল ক্যামেরার দাম অনেক হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও সবাই কিনতে পারেন না। দামি লেন্স এবং অনেক ফিচার থাকার জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরা খরচ তুলনামূলক বেশি। তবে অল্প দামেও বেশ ভালো কিছু ডিএসএলআর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
অবগত হওয়া যাক তেমনই ৫টি ক্যামেরার বিষয়ে, যা দামেও স্বস্তি, পাশাপাশি কাজেও ভালো।
নিকন ডি৫৬০০
২৩.৫x১৫.৬ মিমি, ২৪ এমপি, এপিএস-সিসিএমওএস সেন্সর লাগানো নিকন ডি৫৬০০ ক্যামেরাটি ৩৯ অটো ফোকাস পয়েন্ট সমৃদ্ধ। ক্যামেরাটিতে টাচস্ক্রিনের সুবিধা রয়েছে। এর ব্যাটারি লাইফও বেশ ভালো। ওয়াই-ফাই, এনএফএস, মাইক্রোপোস্ট সুবিধা রয়েছে। বাজারে নিকন ডি৫৬০০ ক্যামেরার দাম ৪৯ হাজার মাত্র।
ক্যানন ইওএস ২০০ডি
যারা আরেকটু বাজেট বাড়াতে পারবেন, তাদের জন্য ক্যানন ইওএস ২০০ডি ক্যামেরাটি একদম ঠিক। এই ক্যামেরাটিতে সেলফিও খুব ভালো তোলা যায়। রিয়ার স্ক্রিন যেকোনো অ্যাঙ্গেলে নিয়ে আসা যায়। ক্যামেরাটিতে ডিআইজিআইসি ৮ প্রসেসর সুবিধা রয়েছে। ক্যামেরাটির দাম ৪২০০ হাজার টাকা মাত্র।
সনি আলফা এ৬৮
সনি আলফা এ৬৮ ক্যামেরাটিতে ২৪.২ মেগাপিক্সেল এক্সমোর সিএমওএস সেন্সর রয়েছে। বিআইওএনজেড এক্স প্রসেসর সম্বলিত এই ক্যামেরাটি ছবি তোলার ক্ষেত্রে বেশ ভালো। সনি আলফা এ৬৮ ক্যামেরাটিতে ২ডি, ৩ডি এবং ৪ডি সুবিধাও সাপোর্ট করে।
নিকন ডি৩৫০০
নতুন যারা ফটোগ্রাফি করতে আসছেন, তাদের জন্য এই ক্যামেরাটি সেরা। ডি৩৪০০-র আপগ্রেডেড ভার্সন হল এই ক্যামেরা। এই ক্যামেরায় টাচস্ক্রিনের সুবিধা নেই। কিন্তু ব্লুটুথের সুবিধা এতে রয়েছে।
ক্যানন ইওএস ১৫০০ডি
ক্যানন ইওএস ১৫০০ডি ক্যামেরাটিও নতুন যারা ফটোগ্রাফি করতে আসছেন, তাঁদের পক্ষে বেশ ভালো। ১৮ এমপি থেকে ২৪.১ এমপি সেন্সরের সুবিধাযুক্ত ক্যানন ইওএস ১৫০০ডি ক্যামেরায় ৩ ইঞ্চি ভ্যারি অ্যাঙ্গল টাচস্ক্রিনের সুবিধাও আছে। এই ক্যামেরার ব্যাটারি লাইফও মন্দ নয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কিনতে যাওয়ার আগে অবশ্যই গুগল করবেন এবং দামাদামি করে কিনবেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস