ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশখালীর প্রধান সড়কে কাঁচাবাজার, প্রতিনিয়ত লেগে থাকে যানজট

বাঁশখালী পুঁইছড়ি ইউনিয়নের নাপোড়া বাজারে সবজি বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত কাঁচাবাজার বসায় প্রধান সড়কে। কাঁচাবাজারের নির্দিষ্ট স্থান ভূমিদস্যুর অবৈধ স্থাপনায় জিম্মি রয়েছে। এতে করে সাধারণ পথচারী ও যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বাঁশখালী প্রধান সড়কটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিকল্প সড়ক হিসাবে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে। প্রতিদিন দূরপাল্লার বাস, ট্রাক,সি এন জি, এ্যাম্বুলেন্স যানজটে আটকা পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় সাধারণ পথচারী হয়তো ভুলেই গেছে এখানে যে একটি রাস্তা রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবজি ক্রয় করতে দেখা যায় পথচারীদের।

ভূমিদস্যু অভিযুক্ত দুলাল কান্তি দেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘এটা আমার বাপ দাদার জমি। এখানে সরকারের যে কোন পদক্ষেপ মেনে নিবো আমরা সবাই।’

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এই বাজারটি ছনুয়া, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি ও নাপোড়া এলাকার জনবসতি নিয়ে প্রসিদ্ধ ও প্রাচীনতম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ’এই বাজার থেকে প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মতো সরকার রাজস্ব পেয়ে থাকেন । কিন্তুু বাজারটি সংস্কারের জন্য এক মাসের কথা বলে প্রায় ১৪ মাস হয়ে গেলেও আমরা এখনো রাস্তায়। সকাল-বিকাল দিনে দুইবার বাজারটি প্রধান সড়কে বসার কারণে নিত্য যানজট লেগেই আছে। আমরা ঠিক মতো বেচাকেনা করতে পারছি না।’

এদিকে বাজারের সঠিক জায়গাতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে দখলে রয়েছে দুলাল মহাজনের চায়ের দোকান,শাহাদাতের মুরগির দোকান,বিধান দাশের চায়ের দোকান ও জহির মাষ্টারের স’মিল। এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে বাঁশখালী উপজেলার সার্ভেয়ার সঠিক স্থানে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে দিলেও কোন ধরনের প্রতিকার মিলেনি। ফলে বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা,পথচারী ও গাড়ি চালকের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

পুঁইছড়ি ইউনিয়নে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা প্রভাত কুষম দাশ বলেন,’পুঁইছড়িতে কৃষিতে তরিতরকারি যথেষ্ট ফলন হচ্ছে। কিন্তু স্বস্তির সাথে বেঁচা-কেনা করতে পারছেনা। বাজারের সুনির্দিষ্ট জায়গার সংকটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পুঁইছড়ি ইউপি সদস্য শের আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ’আমি বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে দরখাস্ত দিয়েছি। ইউএনও মহোদয়কে দরখাস্ত দিয়েছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি। কিন্তুু কোন কাজ হচ্ছে না। আমাকে বারবার তারা বলেন, ’দেখবো, দেখবো’। কিন্তুু আজ ১৪ মাস হয়ে গেলেও কোন খবর নেই। আমার মনে হচ্ছে টাকার বিনিময়ে সরকার এই অবৈধ স্থাপনা গুলো সরাচ্ছে না। আমাদের বাজারে এমন এক অবস্থা একটা প্রস্রাব খানা কিংবা টয়লেট পযর্ন্ত নেই। আমি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, ’নাপোড়া বাজারের বিষয়টি নিয়ে একটা তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন আসার সাথে সাথে বিষয়টি খুব জরুরী ভাবে আমি দেখবো।’

আনন্দবাজার/শাহী/বেলাল

সংবাদটি শেয়ার করুন