ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে পেঁয়াজ আমদানিকারকদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি দাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। ভারতে পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আগামী দিনগুলোয় হিলির পাইকারি বাজারে বেড়ে যেতে পারে পেঁয়াজের দাম।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানিতে মানভেদে ১৫০-২৫০ ডলার ব্যয় হতো। বর্তমানে ভারতীয় রফতানিকারকরা পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বাড়িয়ে টনপ্রতি ৩০০-৪২০ ডলারে উন্নীত করেছেন। ভারতের বাজারে ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির জের ধরে পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তারা। যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানিমূল্য বেঁধে দেয়া হয়নি।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়। দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে দেশের মতো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা হওয়ার কারণে সরবরাহ কমায় কিছুদিন থেকেই দেশটিতে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। বাড়তি দামের কারণে এবার পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বাড়িয়েছেন ভারতীয় রফতানিকারকরা। ফলে এখন থেকে পেঁয়াজ আমদতানিতে হিলির রফতানিকারকদের বাড়তি অর্থ গুণতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় রফতানিকারকরা পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে টনপ্রতি ৩০০ ডলারের নিচে কোনো এলসি নিচ্ছেন না। এতে দেশের বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে। যদিও বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরে পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে এ দাম আরও বাড়তে পারে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন