করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে এশিয়ার দেশগুলোর চালের রপ্তানিমূল্যে দেখা গেছে মিশ্রপ্রবণতা। শেষ সপ্তাহে ভারতে খাদ্যপণ্যেটির রপ্তানিমূল্য আগের তুলনায় টনে সর্বোচ্চ ৪ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের বাজারে রপ্তানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৩৮৭-৩৯৪ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
যা এক সপ্তাহ আগেও দেশটিতে রপ্তানিযোগ্য এ জাতের চাল টনপ্রতি ৩৮৪-৩৯০ ডলারের মধ্যে বিক্রি হয়েছিল। দেড় বছরের মধ্যে ভারতে এটাই রপ্তানিযোগ্য চালের সর্বোচ্চ দাম।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে চালের বাড়তি রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভিয়েতনামের বাজারে খাদ্যপণ্যটির সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এসব কারণে দেশটিতে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। এমনকি ভারতে চালের দাম দেড় বছরের সর্বোচ্চে উন্নীত হয়েছে।
লকডাউনের শুরু থেকেই ভারতে চালের উৎপাদন ও সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। বন্দরগুলোয় শ্রমিক সংকটে ওই সময় চাহিদা অনুযায়ী চাল রপ্তানি করতে পারেননি ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। এখন রপ্তানি পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোয় ভারতীয় চালের রপ্তানি বাড়তির দিকে রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খাদ্যপণ্যটির দামে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস