ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপাকে গ্রামীণ নিম্নবৃত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা

 মহামারি করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব দেশেই নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এমনকি এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সারাবিশ্বেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে এমনটি ভেবে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় অনলাইন ভিত্তিক স্কুল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু গ্রাম বা শহরের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাসায় এই অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার জন্য টেলিভিশন, এন্ডয়েট মোবাইল ফোন, বা কম্পিউটার এর যে কোন একটি আছে।

তবে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থীর বাসায় পল্লি বিদ্যুৎ থাকলেও নেই অনলাইনে ক্লাস করার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। এই ব্যাপার নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে শিক্ষার্থীদের নিকট জানা গেছে, তাদের বাসায় বিদ্যুৎ থাকলেও নেই কোন টেলিভিশন বা কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোন ।

এদিকে অন্যের বাসায় তো দুরের কথা মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে নিজের ঘর থেকে বাহির হওয়া যায় না। এ বিষয়ে আরো জানতে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের কাবাড়িপাড়া গ্রামের একাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রের নিকট গেলে তিনি জানান, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ।

আমাদের ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও আমাদের কাছে নেই অনলাইনে ক্লাসে অংশ নেওয়ার মতো কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। তাই আমার মতো অনেক শিক্ষার্থী এই বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার আলো থেকে পিছিয়ে আছেন। এর ফলে আমরা ভবিষৎ এ ভালো ফলাফলের আশা করতে পারছিনা। অবশেষে একাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রির নিকট আকুল আবেদন জানালেন যে আমাদের মতো শিক্ষার্থীরা যেনো ৮/১০টা শিক্ষার্থীর মতো অনলাইনে ক্লাস করতে পারেন এই অনুরোধ।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এস আই এ

সংবাদটি শেয়ার করুন