কারা অধিদফতরের কর্মকর্তা – কর্মচারীদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতায় কারাগারগুলোতে বাড়ছে অপরাধ এবং অনিয়ম। নিরাপত্তার দেয়াল টপকে পালিয়েছেন দুই বন্দি। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েও পালিয়েছে আরেক বন্দি। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সেই কয়েদির।
একারণে নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কারা সদর দফতর থেকে আটটি বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের ৬৮টি কারাগারে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কারাগার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আইজি প্রিজনস বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি (স্মারক নম্বর :৫৮.০৪.০০০০.০২২.০৩.০২৩.২০২০.৪১২ (১০৫) দেশের ৬৮টি কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কারা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনও কোনও কারাগারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, এমনকি বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে— যা চরম প্রশাসনিক দুর্বলতার নামান্তর এবং মোটেই তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারাগার একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান। বন্দি পলায়নসহ যে কোনও দুর্ঘটনা রোধকল্পে কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করা আবশ্যক।’
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সক্রিয় না হওয়ায় বন্দি পলায়নসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে— যা সুষ্ঠু কারা প্রশাসনের অন্তরায় এবং কারা বিভাগের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। অতএব বন্দি পলায়নসহ যে কোনও দুর্ঘটনা রোধপূর্বক কারা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য সকল কারা কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সর্বোচ্চ অধিক সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
আনন্দবাজার/ইউএসএস