রাজধানীতে সংসার খরচের চেয়েও বাড়ি ভাড়ার খরচ বেশি হয়ে থাকে। শহরে বসবাসরত একজন মানুষের মাসিক আয়ের অধিকাংশ টাকাই বাড়ি ভাড়ায় চলে যায়। দেখা যায়, অনেক বাড়ির মালিক আছেন যারা কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই এক বছর বা ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। যা একজন ভাড়াটের জন্য অনেক বড় চাপ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়াও অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে ভাড়াটেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে থঅকেন। আর যদি আপনি এই ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। তবে এ সময় আইনি ব্যবস্থা নিলে অবশ্যই প্রতিকার পেতে পারেন।
চলুন এই ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক:
যে ভাবে প্রতিকার পাবেন:
১. বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে যদি উচ্ছেদের চেষ্টা করে, তখন আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ বা আরজি দায়ের করতে পারেন।
২. বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন। এ নিয়ন্ত্রক কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের বা আরজির শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।
৩. বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুসারে, প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ালেও তা যুক্তিসঙ্গত হতে হবে।
যা যা করবেন:
১. মানি অর্ডারযোগে প্রেরণ করা ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালা যদি গ্রহণ না করলে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে।
২. একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করবেন।
৩. ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হয় যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে, সেক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেয়া যাবে।
৪. আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি বলার সুযোগ থাকবে না।
৫. প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করবেন।
আনন্দবাজার/এম.কে