শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে পদ্মা সেতুর পরামর্শকের মেয়াদ ও ব্যয়

বাড়ছে পদ্মা সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ও ব্যয়। সেতুর নির্মাণ ও নদীশাসন তদারকিতে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেইসির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে নির্ধা রিত সময়ের চেয়ে আরও ৩৪ মাস। এতে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটিকে দিতে হবে অতিরিক্ত ৩৪৮ কোটি টাকা।

সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজের মেয়াদও বাড়ানো হচ্ছে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) অনুষ্ঠেয় ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির’ বৈঠকে এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এর আগে প্রকল্পের মেয়াদ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে চলতি আগস্ট পর্যন্ত কেইসির প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজ তদারকিতে মোট পরামর্শক ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৯৫৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজ তদারকিকে ‘কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের’ (কেইসি) মেয়াদ চলতি আগস্টে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই পরামর্শক সেবার মেয়াদ আরো ৩৪ মাস বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি বর্ধিত সময়ের জন্য ‘কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নির্মাণকাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো করা হয়েছে, কনস্ট্রাকশন ফেইজ জিওটেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের তারতম্যের কারণ মূল সেতুর ৪২ পিয়ারের মধ্যে ২২ পিয়ারের একটি অতিরিক্ত পাইল সংযোজন করে পিয়ারের নতুন নকশা করা প্রয়োজন পড়ায় সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া ২০১৫ সালের নদীশাসন কাজের মাওয়া প্রান্তে বর্ষা মৌসুমে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ মিটার সেকেন্ডে প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহিত হওয়ার ৫ দশমিক ৭৯ লাখ ঘনমিটার দুটি ইরোসন হোলের সৃষ্টি হয়। এই দুটি গর্ত ভরাট করার কাজেও অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুনঃ  বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের ১৩৩ শুল্ক স্টেশন

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন