ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবনতি হল আকবরের শারীরিক অবস্থা্র

কণ্ঠশিল্পী আকবরের শারীরিক অবস্থার দিন দিন শুধু অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সীমা। তিনি বলেন, গেল সোমবার শারীরিক সমস্যা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আকবরকে।  কিন্তু  এখনও অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না, বরং ইসিজি রিপোর্ট খারাপ এসেছে।

জানা গেছে, ডায়াবেটিস এবং কিডনিরোগসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত কণ্ঠশিল্পী আকবরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত সোমবার। ঈদুল আজহার পর পরই তার শারীরিক অবস্থার অনেক অবনতি হয়। তার কোমর থেকে শরীরের নিচ পর্যন্ত অবশ হয়ে আছে। বর্তমানে মেডিসিন বিভাগের ডা. সুনীল কুমার বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে।

মিডিয়া সংশ্লিষ্ট কিংবা কেউ সহায়তা করেছেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে সীমা বলেন, হানিফ সংকেত স্যার সব সময়ই খোঁজ নিচ্ছেন। এছাড়াও ডিপজল ভাই, জায়েদ খান ভাইয়ের মাধ্যমে খোঁজ খবর রাখছেন। জায়েদ খান ভাই ডাক্তারদের সাথে কথা বলছেন, যোগাযোগ করছেন। বলা যায় উনিই এই বিপদের সময় পাশে আছেন।

সীমা জানান, ‘আগে থেকেই আকবর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এখন বেড়েছে। কিডনিতে সমস্যা রয়েছে। ইলেকট্রোলাইট নেমে গেছে। পায়ের রোগ বেড়েছে, কোনোভাবেই পা কাজ করছে না। সাড়ে তিন বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি।

উল্লেখ্য, যশোর শহরে রিকশা চালাতেন আকবর। সেখানে টুকটাক গান করতেন। তবে গান নিয়ে ছোটবেলা থেকে হাতেখড়ি ছিল না। আকবরের ভরাট কণ্ঠের গানের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। বাগেরহাটের একজন আকবরের গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ‘ইত্যাদি’ কর্তৃপক্ষ আকবরের সাথে যোগাযোগ করে। ওই বছর ‘ইত্যাদিতে ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’-কিশোর কুমারের এই গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আকবর।

বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে আকবর মিরপুর ১৩ নম্বরে থাকেন। তার বড় মেয়ে আছিয়া আকবর অথই হারমান মেইনার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ছেলে কামরুল ইসলাম এবং মহরম থাকে গ্রামের বাড়ি যশোরে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন