ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানি-রফতানিতে চীনা ট্যাংকার পরিহারের ঘোষণা ভারতের

চীনের সঙ্গে চলা ভারতের বিরোধের রেশ যেন থামছেই না। এবার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি কিংবা ভারত থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানি পণ্য রফতানিতে চীনা মালিকানাধীন ও পতাকাবাহী জাহাজ বা ট্যাংকার ব্যবহার বন্ধের কথা জানালো ভারত।

ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে জ্বালানি পরিবহনে ট্যাংকার সরবরাহকারীদের এ বিষয়ে অবহিত করেছে। বলা হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ভারতের পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে চীনা মালিকানাধীন কিংবা চীনের পতাকাবাহী ট্যাংকার ভাড়া করা যাবে না। একইভাবে ভারত থেকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে পরিশোধিত জ্বালানি পণ্য রফতানিতেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনা ট্যাংকার পরিহার করায় ভারতের জ্বালানি আমদানি-রফতানিতে বড় কোনো সমস্যা তৈরি হবে না। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে চীনা ট্যাংকারের ব্যবহার আগে থেকেই সীমিত। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে চীনা ট্যাংকার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ভাতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। আর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি-রফতানিতে ভারতীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাইবেরিয়া, পানামা ও মরিশাসের পতাকাবাহী ট্যাংকার বেশি ব্যবহার করে। তবে অনেক সময় ট্যাংকার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে জলযান জোগাড় করে দেয়। মূলত এসব ক্ষেত্রে যাতে চীনা কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা পতাকাবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে চুক্তি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক করেছে ভারত।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীন ও ভারত। গত শতকের ষাটের দশকের পর সবচেয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি পার করছে দেশ দুটির সম্পর্ক।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন