করোনায় বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে ভীষণ রকমের চাপের মধ্যে পড়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি। করোনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি মন্দাবস্থা শুরু হলে এ চ্যালেঞ্জ আরও জোরালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এর অংশ হিসেবে স্বর্ণ উত্তোলন বাড়াতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মস্কো। এমনকি ২০২৯ সালের মধ্যে চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ স্বর্ণ উত্তোলনকারী দেশের স্বীকৃতি পেতে উচ্চভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার।
সম্প্রতি রাশিয়ার স্বর্ণ উত্তোলন খাতের এই পরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ সলিউশনস। সংস্থাটির কান্ট্রি রিস্ক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ বছর থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে স্বর্ণ উত্তোলন খাতে প্রতি বছর ৩ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায় রাশিয়া। এ প্রবৃদ্ধি দেশটিকে বিশ্বের শীর্ষ স্বর্ণ উত্তোলনকারীর স্বীকৃতি এনে দেবে। ফলে ২০২৯ সালে চীনকে ছাড়িয়ে তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠবে দেশটি।
তবে উত্তোলন খাতের এ প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বর্ণের বাড়তি চাহিদা। ওয়াশিংটনের সাথে বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুতে বিরোধে জড়ায় পুতিন প্রশাসন। তাই উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পর্কে সব সময়ই একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করে। তাই এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিতে চায় না রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও দেশটির সরকার। তাই অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত রাখতে কয়েক বছর ধরেই স্বর্ণের মজুদ বাড়িয়ে চলেছে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ফলে দেশের বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদা রাশিয়ার স্বর্ণ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্যবান ধাতুটির উত্তোলন বাড়াতে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। ক্রেমলিনও চাইছে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে স্বর্ণ কিনতে। মূলত এ কারণেই ২০২৯ সাল নাগাদ স্বর্ণ উত্তোলন খাতে বছরে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশা করছে রাশিয়া।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে