ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামাজিক দূরত্ব না মেনে প্রকৃতির সন্ধানে

সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে প্রকৃতির সন্ধানে, আনন্দ উৎসবে মেতে উঠছেন জন জীবন। পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও জেলার সংযোগের একটি দর্শনীয় স্থান সুইচ গেইট। যদিও এটি ঐতিহাসিক জনপ্রিয় স্থান নয়। কিন্তু পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁ জেলা মানুষদের জন্য ঐতিহাসিক স্থান সমতুল্য। এই ব্রিজটিতে পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থার জন্য চারটি গোইট আছে বলে এই ব্রিজটিকে সুইচ গেইট বলে পরিচিত।

বিশেষ করে বন্যার পানিতে এই স্থানটির দৃশ্য উপভোগ করতে অনেক দুর দুরান্তের আসেন মানুষজন। কারণ বর্ষার পানিতে চারদিকে পানিতে থই থই করে, প্রচুর পরিমানে স্রোত প্রবাহিত হয়। দৃশ্যটি দেখতে অনেক মনোমুগ্ধকর লাগে।

দীর্ঘদিন করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লকডাউন মানছিলেন পঞ্চগড়ের মানুষ, কিন্ত সীমাহীন লকডাউনে ঘরে বন্দি থেকে জনজীবন যেন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাই প্রকৃতির সন্ধানে সামাজিক দূরত্ব না মেনে, করোনাভাইরাসের সংক্রমনের ভয় না করে আনন্দ উপভোগ করতে আসেন দর্শনাথীরা । আনন্দ উপভোগ করার জন্য, ছোট, বড়, ধনি, গরীব সব শ্রেনির মানুষদের ভীর জমে এখানে।

সবার মুখে এক ফালি মধুমাখা হাসি, যেন চাঁদকেও হার মানিয়ে দিবে দর্শনাথীদের। আনন্দ আর সীমাহীন আনন্দ। সমস্ত পৃথিবীর প্রকৃতির অবয়ব যেন সেখানে। দর্শনাথীরা সবাই যেন এক ছাতার নীচে অবস্থান করছে। আর যেন তারা বলতে চাচ্ছে প্রকৃতির মাঝে তাদের নিজেকে হারিয়ে ফেলছে।

জানা গেছে, এখানে স্থানীয় ছাড়া অনেক দুর দুরান্ত হতে, আটো,মোটরসাইকেল, মাইক্রো নিয়ে আসে আনেক দর্শনাথীরা, তারা উপভোগ করে প্রকৃতির সব দৃশ্য, বিশ্ববিদ্যালয় পড়া ছাত্র নাজিম উদ্দীন এবং সাহেব উদ্দীন নামে দুই ছাত্র সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে, এখানে প্রকৃতির সন্ধানে আসে অনেক শ্রেনির মানুষ এবং উপভোগ করেন মনমুগ্ধকর পরিবেশ।

উপভোগ করতে আসে রুপালী সাজে সেজে, বাহারি রঙের পোশাক পরিধানে আসেন অনেক দর্শনাথী, সেখানে আড্ডা দেয়, ফুচকা খাওয়া, ও বসে থাকে প্রকৃতির নির্মল হাওয়ায়। যারা এখানে এসেছিলে তাদের সাথে কথা বলে জেনেছি, লকডাউন অমান্য করে আনন্দে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছে। যেন মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত সুখ এখানে আসলেই দর্শনাথীরা পাই।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এম এস ই

সংবাদটি শেয়ার করুন