ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় ১০৮ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি ফরিদপুরে

দু’দফার বন্যায় ফরিদপুরে প্রায় ১৩ হাজার ২৯৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ১০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের বীজ-সার দিয়ে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

 জানা গেছে, ফরিদপুরে পর পর দু’দফার বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে সাতটি উপজেলাই বন্যাকবলিত হয়। পদ্মা নদীসংলগ্ন সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, আলিয়াবাদ, চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন এবং সদরপুর এবং চরভদ্রাসন উপজেলার চরাঞ্চলের নিন্ম এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে এসব এলাকার ১৩ হাজার ২৯৭ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায়।

বন্যার পানিতে আগেই বোনা আমন তিন হাজার ৪৭০ হেক্টর, রোপা আমন সাত হাজার ৪২৯ হেক্টর, আমনের বীজতলা ১১০ হেক্টর, নানা ধরনের সবজি ৪২৫ হেক্টর, আউশ ধান এক হাজার ৪১৭ হেক্টর ও কলা ৯৬ হেক্টর ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ায় কারণে প্রায় ১০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলার সাড়ে ৫০০ গ্রামের ৬৪ হাজার ৩২৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছে, দু’দফার বন্যায় রোপা আমন, আউশ ধান, বোনা আমন এবং নানা ধরনের সবজিসহ বন্যার পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অনেকে পথে বসে গেছেন। সরকারি সহযোগিতা না পেলে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন না বেশিরভাগ কৃষকই। সরকার সার-বীজ দিয়ে সহায়তা করলে আবার নতুন করে আবাদ শুরু করতে পারবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

এই ব্যাপারে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হজরত আলী জানান, দু’দফার বন্যায় জেলার ১৩ হাজার ২৯৭ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে বোনা আমন, রোপা আমন, আমনের বীজতলা, নানা ধরনের সবজিসহ ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ায় কারণে প্রায় ১০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলার সাড়ে ৫০০ গ্রামে ৬৪ হাজার ৩২৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর বন্যা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রর্যাপ্ত প্রণোদনা দেওয়া হবে। ফলে কৃষক উপকৃত হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বীজ এবং সার দিয়ে সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন