করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘বড় সাফল্য’ দেখিয়ে কোটিপতি হয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের তিন অধ্যাপক। গত ২১ জুলাই তাদের ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফল প্রকাশের পর পরই কোম্পানির শেয়ার ৫৪০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
ওই তিন অধ্যাপক হচ্ছেন- রাতকো জুকানোভিক, স্টিফেন হলগেট এবং ডোনা ডেভিস। এর প্রায় দুই দশক আগে এখন থেকে তারা হাঁপানি এবং দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইন্টারফেরন বিটা নামে একটি ওষুধটি আবিষ্কার করেছিলেন।
এরপর ওই তিনজন মিলে তাদের আবিষ্কারগুলোকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্য সিনায়ারজেন নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিলেন। ২০০৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ার বাজারে ছাড়লেও এক চুক্তির পরে শেয়ারের দর হ্রাস পায়।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত শেয়ার বাজারে সিনায়ারজেনের দাম ৩০০০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ২০৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। ফলে কোম্পানির পরিচালকদের ২ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ৭ মিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই ওষুধটি শরীরের দেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৭৯ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই কমে যায়।
করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন শ্বাসকষ্টের জন্য কোনও সম্ভাব্য চিকিৎসায় তাদের আবিষ্কার করা ওষুধটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসাবে দেখা দেয়। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় তাদের এসএনজি০০১ নামের ইন্টারফেরন বিটা ওষুধের ব্যবহারের ফলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দুই থেকে তিনগুণ বেশি।
আনন্দবাজার/এম.কে