বরগুনার তালতলীতে পুর্নাঙ্গ হাসপাতালের দাবীতে এক যোগে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে প্রতিটি হাট বাজারে মানব বন্ধন ও গন স্বাক্ষর কর্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ সোমবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১ টায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালিত হয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, তালতলী উপজেলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার অথচ তার এই উপহারের উপজেলাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই যা অতন্ত্য দুঃখ জনক। চিকিৎসা সেবা পাওয়া সকল মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা তালতলী বাসী দাবী করছি উপকূলের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাই।
উল্লেখ্য বরগুনা জেলার সর্বশেষ উপজেলা তালতলী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২০১০ সালের মে মাসের ৬ তারিখে আমতলী উপজেলা ভেঙ্গে তালতলীকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা হয়েছে ১০ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এখনো এ জনপদের মানুষ পুর্নাঙ্গ উপজেলার স্বাদ পায়নি। পাচ্ছেনা বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা। এ উপজেলার প্রায় তিন লক্ষ মানুষ ভালো মানের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
উপজেলাটি সমুদ্রের তীরবতী হওয়ায় তলতলী প্রকৃতিকভাবেই সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছেঃ সৃজিত বন, আশার চরের শুটকি পল্লী , টেংরা গিরি ইকোপার্ক, শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এবং পিকনিক স্পট, রাখাইন পল্লী প্রভৃতি এ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ জেলে, কৃষক, এ উপজেলায় গড়ে প্রতিদিন শত শত পর্যটক ঘুরতে আসে। সরকারি কিছু মেঘা প্রজেক্ট ও হাতে নিয়েছে এই এলাকাটি নিয়ে।
গুরুত্বপূর্ণ এ জনপদের মানুষদের জন্য ৫০ শয্যা হাসপাতাল এখন একান্ত প্রয়োজন।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-সেন্টার ২০ শয্যা বিশিষ্ট তালতলী হাসপাতাল। ডেপুটেশনের ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।
এই এলাকার উচ্চ বিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই হাসপাতালটি।
চারজন ডাঃ দিয়ে কোন রকম আউট ডোর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সাস্থ্য বিভাগ। হাসপাতালে ষ্টাফ ও যন্ত্রপাতির অভাবে কোন রুগি ভর্তি নেয়া হয় না। পরীক্ষা নিরীক্ষার ও কোন ব্যবস্থা নেই।
আনন্দবাজার/নাদিম