ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিমলায় বন্যায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দিন দিন বেড়েই চলছে পানিবন্দির সংখ্যা। সোমবার তিস্তা অববাহিকায় বন্যার কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ।

উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের ফলে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২.৬০ স্বাভাবিক) সকাল ৬টায় (৫৩দশমিক ১.২ সেন্টিমিটার) ও ৫৫ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বন্যা ও ভাঙ্গনের কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জনপ্রনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৪০হাজার মানুষ।

রবিবার সন্ধা হতে সোমবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫৩দশমিক ০.৪ সেন্টিমিটার) ৫৪ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার দুপুর হতে বিকেল পর্যন্ত তিস্তার পানি কমে বিপদসীমার (৫২দশমিক৭৮ সেন্টিমিটার) ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (পাউবো)।

বন্যার কারণে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ডালিয়া পাউবো এর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫৩দশমিক ০.৪সেন্টিমিটার) ৫৪ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেলে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপদসীমার (৫২দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার) ১৮সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে এবং আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে ভাঙ্গন ঠেকাতে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১৯শ ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ১শ জিও ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পানিবন্দিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/ টি আই

সংবাদটি শেয়ার করুন