শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন আবাদে ন্যায্যদাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

দিনাজপুরে আমন আবাদে ব্যস্ত কৃষক। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে কৃষি উপকরণ ও শ্রম মজুরি বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

এছাড়া গত বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় উৎকন্ঠার মধ্যে আছেন কৃষক। তবে আমন উৎপাদনে সার, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

দিনাজপুরে আমন আবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। হাল চাষ, সেচ দেয়ার পর ৯০ শতাংশ জমিতে রোপা আমন রোপনের কাজ শেষ। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান আবাদে কৃষকদের বিঘা প্রতি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা বেশি খরচ গুণতে হচেছ।

কৃষকরা বলছেন, সার, কীটনাশক, সেচ, ডিজেল এবং কৃষি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায়, ন্যায্যমূল্য না পেলে আমন ফসলে লাভবান হবেন না।

কৃষক নেতাদের অভিমত, সরাসরি ধান ক্রয় এবং ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ মেট্রিক টন বৃদ্ধি করা হলে লাভবান হবে কৃষক।

জাতীয় কৃষক জোট দিনাজপুরের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, দেনার মধ্য দিয়ে কৃষক আমন রোপন করেছে। এর ন্যায্যমূল্য না পেলে তাদের মেরুদণ্ড একদম ভেঙে যাবে।

সার, কীটনাশক, কৃষি উপকরণ সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. তহিদুল ইকবাল বলেন, গতবারের থেকে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে।

জেলায় আমন মৌসুমে ৭ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ২ লাখ ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

আরও পড়ুনঃ  আমনের যত্নে ব্যাস্ত চাষিরা

সংবাদটি শেয়ার করুন